নিজস্ব প্রতিনিধিঃপুলিশ পরিচয়ে লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া তিন বিকাশ প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বরিশাল মেট্রোপলিটন কাউনিয়া থানার পুলিশ ঢাকা ও টাঙ্গাইল জেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
এসময়ে প্রতারণায় ব্যবহৃত দুটি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হলেও টাকা উদ্ধার করা যায়নি বলে জানিয়েছেন কাউনিয়া থানার ওসি আজিমুল করিম।
তিনি জানান, এই চক্রের সাথে আর কেউ জড়িত আছে কিনা তার তদন্ত চলছে। একই সাথে টাকা উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছেন, ১৬ ফেব্রুয়ারি বরিশাল নগরীর ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ফিরোজ আলমের স্ত্রী কহিনুর বেগমের কাছে (০১৩১১৩৯৭০২১) নম্বর থেকে কল আসে।
অপরপ্রান্ত থেকে অজ্ঞাত ব্যাক্তি কহিনুরকে জানায় তার বড় ভাই সোবাহান মিয়া নারীসহ বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে আটক হয়েছে।
মোবাইলের অপর প্রান্তের ব্যক্তি আরও বলেন, পুলিশের নিকট থেকে সোবাহানকে ছাড়িয়ে নিতে হলে এক লাখ টাকা ঘুষ দিতে হবে। কহিনুর বেগমের কাছে মোবাইলের সেই ব্যক্তি বাবুগঞ্জ থানার পুলিশ সদস্য পরিচয় দেন।
ভাই সোবাহান পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন শুনে তাকে ছাড়িয়ে নিতে দাবিকৃত এক লাখ টাকার মধ্যে বিকাশে ৩০ হাজার করে মোট ৯০ হাজার এবং রকেট নাম্বারে দশ হাজার টাকা পাঠান।
টাকা পাঠানোর পর কহিনুর তার ভাই সোবাহান মিয়ার কাছে মোবাইল করেন। সোবাহান জানান, তিনি পয়সারহাট বাজারে আছেন কাজ করছেন। তখন কহিনুর বুঝতে পারেন তিনি বিকাশ প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
এ ঘটনায় ২২ মার্চ কাউনিয়া থানায় অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন কহিনুর বেগম। মামলা নং-০৮/৪৩।
এরপরে অভিযানে নামে কাউনিয়া থানার সহকারী কমিশনার মাসুদ রানা। তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওইদিনই টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে রফিকুল ইসলামের ছেলে বিকাশ প্রকতারক রোজন মিয়া (২৭) ও তমশের আলীর স্ত্রী জোবেদা আক্তার(৫৫)কে আটক করে।
তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা জেলার রাজাবাড়ী চৌরাস্তা থেকে তমশের আলীর ছেলে জে.আর এন্টারপ্রাইজের মালিক মোঃ জহিরুল ইসলাম (৩৭) কে আটক করা হয়।