নিজস্ব প্রতিনিধি : বরিশালে প্রতারনা মামলায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ও ডাক্তার পরিচয়ধারী জমজম নার্সিং ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান মাসুদুল হক এনামকে জেল হাজতে প্রেরন করেছেন আদালত। গতকাল এক আদেশে অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোঃমাসুম বিল্লাহ আদেশ দিয়ে তাকে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন। মামলার বিবরনীতে জানা যায়, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ও ডাক্তার পরিচয় দিয়ে মাসুদুল হক এনাম বরিশালের জমজম হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ এমরানুল হককে নানা ভাবে হয়রানী করে আসছিল।এর-ই ধারবাহিকতায় এমরানুল হক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ও ডাক্তার পরিচয়ধারী মাসুদুল হক এনাম ও তার ছেলে সাজ্জাদুল হকের নামে বরিশালের বিজ্ঞ চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যার এম পি মামলা নং-২৯৫/১৯। ভুক্তভুগী এমরানুল হকের দায়ের করা মামলায় গতকাল আদালতের কাঠগড়ায় দাড়াতে হয় অভিযুক্ত ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ও ডাক্তার পরিচয়ধারী মাসুদুল হক এনামকে। মামলার বিবরনী থেকে আরো জানা যায়, ভুক্তভুগী মোঃ এমরানুল হকের ৪১৯, ৪২০, ৪৬৮, ৪৭১,/৫০৬(২)১০৯ ধারায় দায়েরকৃত নালিশী মামলাটি বরিশাল চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বরিশাল , পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন( পিবিআই) এর কাছে তদন্তে পাঠায়। এতে পিবিআই মামলার তদন্ত করে মাসুদুল হক এনামের বিরুদ্ধে প্রতারনার উদ্দেশ্যে জাল জালিয়াতি করে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে সুবিধা নেয়ার জন্য প্রত্যায়ন পত্র সৃষ্টি করা এবং উক্ত প্রত্যায়নপত্র সঠিক হিসেবে ব্যবহার করার অপরাধে ( তথ্য পেনাল কোড ৪৬৮/৪৭১ ধারার) অপরাধ সংঘটনের সত্যতা পেয়ে পিবিআই আদালতে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করেন। পিবিআই রিপোর্টের আলোকে আদালত গত ২৭ জানুয়ারী আসামী মাসুদুল হক এনামকে সমনজাড়ি আন্তে বিজ্ঞ আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। সমনের আলোকে আসামী মাসুদুল হক এনামকে গতকাল ১৮ মার্চ আদালতে হাজির হওয়ার দিন ধার্য্য করলে আদালতে হাজির হলে অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাসুম বিল্লাহ তাকে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন। এদিকে মামলার বাদী পক্ষ্যের আইনজীবী জামাল হোসেন জানান, আসামী মাসুদুল হক এনাম বিভিন্ন যায়গায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ও ভুয়া ডাক্তার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে সুবিধা ভোগ করে আসছিল। পাশাপাশি রাষ্ট্রের সাথে প্রতারণা করে আসছিল। এর-ই পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন।