নিজস্ব প্রতিনিধিঃজাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কলারের ফোনকলের মাধ্যমে অপহরণের শিকার এক আইনজীবীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেইসঙ্গে অপহরণের অভিযোগে এক নারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে যশোর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও যশোরের অভয়নগর থানা পুলিশ।
গ্রেফতাররা হলেন- সুরাইয়া (২০), আবদুস সালাম (২৪) ও শাহিল শিকদার (১৮)।
মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টায় ৯৯৯-এ ফোন করে এক কলার জানায়, তার বোনের ছেলেকে একদল দুষ্কৃতকারী খুলনা থেকে অপহরণ করে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে। ৯৯৯ বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে যশোর পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও ঝিকরগাছা থানাকে জানায়। ৮ ফেব্রুয়ারি ভিকটিমের পরিবার বিষয়টি যশোর পিবিআইকেও জানায়। পরে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ভিকটিমের অবস্থান অভয়নগর থানার একতারপুর তালতলায় বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। ৯ ফেব্রুয়ারি পিবিআই ও অভয়নগর থানা পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার ও তিন জনকে গ্রেফতার করে।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, সাতক্ষীরার বাসিন্দা হাইকোর্টের আইনজীবী আবু হেনা মোস্তাফা কামাল মিলনের (৩০) সঙ্গে খুলনার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি আইনজীবী মিলন সাতক্ষীরা থেকে খুলনা পাইওনিয়ার কলেজের সামনে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে আসেন।
সেখান থেকে মিলন ও তার প্রেমিকা উভয়ই গিলাতলা খুলনা ক্যান্টনমেন্ট পার্কে বেড়াতে আসে। পার্কে বেড়ানোর সময় মিলনের প্রেমিকার বান্ধবী সুরাইয়া (২০) তাদের দুজনকে চা খাওয়ার দাওয়াত দিয়ে বাসায় আটকে রাখেন। পরে মিলনের পরিবারের কাছে সুরাইয়া ও তার সঙ্গীরা ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
ভিকটিমের পরিবার গত ৭ ফেব্রুয়ারি ৯৯৯-এ ফোন করে জানায় এবং গত ৮ ফেব্রুয়ারি যশোর জেলার পিবিআইকে জানায়। বিষয়টি আবার সঙ্গে সঙ্গে ৯৯৯ যশোরের অভয়নগর থানা পুলিশকে জানায়।
অভয়নগর থানা পুলিশ ও পিবিআই তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে অপরাধীদের অবস্থান শনাক্ত করতে খুলনা ও অভয়নগরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। অবশেষে অভয়নগর থানার তালতলা একতারপুর থেকে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ভিকটিম আবু হেনা মোস্তাফা কামাল মিলন ও তার প্রেমিকাকে উদ্ধার করে। এ সময় সুরাইয়া ও তার দুই সহযোগী আবদুস সালাম (২৪) ও শাহিল শিকদারকে গ্রেফতার করে।
পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার আরও বলেন, আসামীরা থানা হেফাজতে আছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত পলাতক অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।