আরিফ হোসেন,বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি::বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জে বৌভাত অনুষ্ঠানের খাবারে মাংস কম দেয়া নিয়ে সংঘর্ষে বর পক্ষের একজন নিহতের আলোচিত ঘটনায় ৯ জনকে আসামী করে এয়ারপোর্ট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং- ৬। মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) ঘটনার দিন রাতেই নিহত আজাহার মীর (৬৫) এর ছেলে সুরুজ মীর বাদী হয়ে মামলা টি দায়ের করেন।
ঘটনাস্থল থেকে আটক ২০ জনের মধ্য থেকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ৯ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এয়ারপোর্ট থানার ওসি (অপারেশন) বিপ্লব।
উল্লেখ্য ৫ জানুয়ারি বাবুগঞ্জে বৌভাত অনুষ্ঠানের খাবারে মাংস কম দেয়া নিয়ে কনে পক্ষের হামলায় ঘটনাস্থলেই নিহত হয় বরের চাচা আজাহার মীর (৬৫)। দুপুর ২টার দিকে উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ রফিয়াদি গ্রামে মীর বাড়ি বৌভাতের প্যান্ডেলেই এ ঘটনা ঘটে। হামলায় নিহত বৃদ্ধ আজহার মীর (৬৫) ওই এলাকার মৃত মৌজে আলী মীরের ছেলে এবং বর সজীব মীরের আপন চাচা।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বরিশাল মেট্রপলিটন পুলিশের(বিএমপি) অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার ফজলুল করিম ও এসি নাসরিন জাহান।
চাঁদপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান সবুজ জানিয়েছেন, দক্ষিণ রফিয়াদি গ্রামের মোতাহার মীরের ছেলে সজীব মীরের সাথে বরিশাল নগরীর কাউনিয়া সাবান ফ্যাক্টরী এলাকার আবুল কালাম হাওলাদারের মেয়ে রুনা বেগমের বিয়ে হয়। দুইদিন পূর্বে রুনা বেগমে বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়ি নেয়া হয় এবং মঙ্গলবার বৌভাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কনে বাড়ি থেকে ৪৮ জন সেই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। খাবার খাওয়ার একপর্যায়ে মাংস কম দেয়াকে কেন্দ্র করে কনে পক্ষের সাথে বর পক্ষের স্বজনদের প্রথমে তর্ক হয়। এরপর দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে কনে পক্ষের মারধরে বরের চাচা আজহার মীর ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। আহত হয় উভয় পক্ষের প্রায় ১৫ জন।
স্থানীয়দের সহযোগীতায় কনের বাবা আবুল কালাম হাওলাদারসহ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কনে পক্ষের ২০ জনকে ঘটনাস্থলে আটক করে থানায় নিয়েছে পুলিশ।#