নিজস্ব প্রতিনিধিঃহাইকোর্ট থেকে কোনো আসামির জামিনের পর তার বিরুদ্ধে জামিনের অপব্যবহারের প্রমাণ ছাড়া ওই জামিন অধস্তন আদালত বাতিল করতে পারবেন না- এটা সহ জামিন নিয়ে হাইকোর্টের চার নির্দেশনা স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিলের (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) শুনানি না হওয়া পর্যন্ত ওই নির্দেশনার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন।
এর আগে চট্টগ্রামের মো. ইব্রাহিম নামে এক ব্যক্তির জামিন বিষয়ে ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর চার দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের রায়ে এই নির্দেশনা দেন। পরে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।
প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ রায়ে কোনো আসামিকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের ক্ষেত্রে অধস্তন আদালতের জন্য অনুসরণীয় বিষয়ে চার দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ লিভ টু আপিল করে। নির্দেশনা গুলো হলো:
১. হাইকোর্ট বিভাগ থেকে কোনও আসামি যদি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য জামিনে মুক্তি পান, তবে জামিনের অপব্যবহারের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া অধস্তন আদালত তার জামিন বাতিল করতে পারবেন না।
২. নির্দিষ্ট সময়ের জন্য জামিনে মুক্তি পাওয়া ব্যক্তির জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশ দাখিল না করার কারণে অধস্তন আদালত তার জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠাতে পারবেন না।
৩. সংশ্লিষ্ট আসামি বা ব্যক্তির জামিন বাতিল করতে হলে তিনি হাইকোর্টের যে রুল বা আপিলে জামিন পেয়েছেন, সেই রুল বা আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
৪. হাইকোর্ট যে রুলে বা আপিলে জামিন দিয়েছেন, তা খারিজ না হওয়া পর্যন্ত অধস্তন আদালত তার জামিন বাতিল করতে পারবেন না। তবে, হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের শর্ত ভঙ্গ করলেই শুধু জামিন বাতিল করা যাবে।