নিজস্ব প্রতিনিধি:করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে সংক্রমণের প্রকৃত চিত্র জানা সবচেয়ে জরুরি বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। সেক্ষেত্রে শীতে প্রকোপ বাড়লেও সংকট মোকাবিলায় বেগ পেতে হবে না। সংক্রমিতদের আইসোলেশন নিশ্চিতের তাগিদ তাদের।
গত ৮ মার্চ থেকে দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হলেও তীব্রতা বাড়ে জুনে। কিন্তু জুনের শেষ থেকেই আশঙ্কাজনক হারে কমতে থাকে নমুনা পরীক্ষা। এদিকে সময়ের সাথে সাথে বাড়ছে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় উদাসীনতাও।
এ পরিস্থিতিতে সরকারকে ভাবাচ্ছে শীত মৌসুম।
তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দেশে করোনার বর্তমান চিত্রই যেখানে অজানা, সেখানে দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে কথা বলা অন্ধকারে ঢিল ছোঁড়ার মতোই।
আইইডিসিআর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. আলমগীর বলেন, যেহেতু ভাইরাসটি নতুন, আবার শীতে বাড়বে সেটা নিয়ে একটি অনিশ্চয়তা দেখা দিচ্ছে।
অধ্যাপক ডা. রেদওয়ান বলেন, যেখানে আমাদের দুই লাখ টেস্ট দরকার, সেখানে আমি মাত্র ১৫-২০ হাজার টেস্ট করছি। তাই আমরা দেশের সঠিক চিত্র কখনোই পাব না। সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে কথা বলা অন্ধকারে ঢিল ছোঁড়াই।
করোনার লাগাম টানতে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি সংক্রমিতদের পূর্ণাঙ্গ আইসোলেশন নিশ্চিতের তাগিদ তাদের।
ডা. রেদওয়ান বলেন, শীতকালে কিছু করতে চাইলে সেটা এখনই করতে হবে।
দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় নিজ নিজ মন্ত্রণালয়কে কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণে ১৫ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।