বাউফল প্রতিনিধিঃপটুয়াখালীর বাউফলে জমাজমির বিরোধ ও শিক্ষার্থী কটাক্ষ করাকে কে কেন্দ্র করে দুটি হামলায় প্রতিপক্ষের ১০জন গুরুতর জখম হলে বরিশাল ও বাউফল হাসপাতালে ভর্তির করা হয় । এ ঘটনায় গত এক সপ্তাহেও মামলা নেয়নি বাউফল থানা পুলিশ । এতে ঘটনার সাথে জড়িত দুর্বৃত্তরা নির্যাতিত পরিবারকে ভয়ভীতিসহ নানা কর্মকান্ড করে যাচ্ছে । ফলে অপরাধীদের দৌরাত্ম বৃদ্ধি পাওয়ায় বড়ধরনের হামলার আশঙ্কায় পরিবার নিয়ে আতংঙ্কে দিন কাটাচ্ছে বলে নির্যাতিত পরিবারের অভিযোগ। বাউফল থানা পুলিশ জানায় অভিযোগ হয়েছে তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে ।
জানাগেছে, উপজেলা বগা ইউনিয়নের সন্যাসী কান্দা এবং দাসপাড়া ইউনিয়নের দাসপাড়া গ্রামে মোঃ ফরিদ হাওলাদারকে জমাজমির বিরোধকে কেন্দ্র করে এলাকার লাঠিয়াল রজমান এবং হুমায়ুনের নের্তৃত্বে লাঠিসোটা নিয়ে পিটিয়ে বাম হাত ভেঙ্গে দেয়। পিটিয়ে মাথায় রক্তাক্ত জখম করে। এদিকে দাসপাড়া গ্রামে এক শিক্ষার্থীকে নিয়ে কটুক্তি করায় রুবেল ও তার পরিবার প্রতিবাদ করায় উজ্জ্বল ও আকবরের নের্তৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল হামলা চালিয়ে রুবেল খাইরুলকে পিটিয়ে জখম করলে রুশিয়া বেগম বাঁধা দিলে তাদেরকে পিটিয়ে আহত করে। এতে রুবেল, খাইরুল রুশিয়া বেগম মারাত্মক আহত হলে বাউফল হাসাপাতালে ভর্তি করা হয় । পরে খাইরুলের অবস্থা শংকটাপন্ন হলে তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা । এ ঘটনায় আহত ফরিদ হাওলাদারের বাবা আবুল কালাম এবং আহত রুবেল মাতব্বর বাদি হয়ে গত এক সপ্তাহ আগে বাউফল থানায় মামলা দিলে থানা পুলিশ মামলাটি এজাহার না করায় উভয় ক্ষতিগ্রহস্থ পরিবার ফের সন্ত্রাসী হামলার আশংঙ্খায় পরিবার নিয়ে দিন কাটাচ্ছে । এ বিষয়ে বাউফল থানা ওসি (তদন্ত ) আল মামুন জানান, বাদির অভিযোগ পেয়েছি দুটি মামলাই এজাহার নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে ।