ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে পাড়াভরট গ্রামের কিশোরী তাকমীন খুনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মাহফুজ ওরফে ইছামুদ্দিন নামে এক মাদরাসাছাত্রকে আটক করেছে পুলিশ।
মাহফুজ উপজেলার রাওনা গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে এবং জামিয়া আরাবিয়া কাসেমুল উলুম মাদরাসার ছাত্র।
খুনের তিনদিন পর মোবাইল কল লিস্টের সূত্র ধরে তাকে আটক করা হয়।
আঠারদানা জামে মসজিদের মোয়াজ্জিন ও একই মাদরাসার ছাত্র মো. আশিকুল হকের সঙ্গে পাড়াভরট গ্রামের আব্দুল মতিনের কিশোরী কন্যা তাকমীনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
আশিকুল নান্দাইল উপজেলার তারাপাশা গ্রামের আইনাল হকের ছেলে।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সোমবার রাত তিনটার দিকে পালিয়ে যাওয়ার কথা বলে আশিকুল আঠারদানা জামে মসজিদের কাছে তাকমীনকে ডেকে নেয়। আগে থেকেই ছিল আশিকুলের বন্ধু মাহফুজ ও উপজেলার তারাপাশা গ্রামের সাইদুলের ছেলে আরিফ।
সেখানে যাওয়ার পর আশিকুল তাকমীনকে ধর্ষণ করে। পরে মাহফুজ ও আরিফ তাকমীনের হাত, পা ও মুখ চেপে ধরে ও আশিকুল তার মাথার পাগড়ী দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে তাকমীনকে।
পরে তিনজনে মিলে গাছের ডালে তাকমীনকে ওড়না দিয়ে বেঁধে রাখে।
ফজরের আজান দেয়ার সময় হলে আশিকুল আজান দেয়। এরপর নামাজে আশিকুল ইমামতিও করে। এ সময় মুসল্লিদের সঙ্গে মাহফুজ, আরিফও নামাজ আদায় করে।
নামাজ শেষে মুসল্লিরা তাকমীনের মরদেহ একটি জামগাছের ডালের সঙ্গে বাঁধা দেখতে পেয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম রিয়েলের মাধ্যমে থানায় জানালে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার বিকেলে তাকমীনের বাবা আব্দুল মতিন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে গফরগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার সকালে গফরগাঁও থানা পুলিশ মাহফুজকে আটক করে। তার কাছ থেকে এই খুনের রহস্য জানতে পারে পুলিশ।
মসজিদের মুসল্লি আলী মন্ডল জানায়, বুধবার দুপুর থেকে আশিকুল পলাতক রয়েছে।
গফরগাঁও সার্কেলের এএসপি জানান, এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে আমরা প্রযুক্তির সহযোগিতা নিচ্ছি। এই মুহূর্তে এর বেশি কিছু বলা যাবেনা।