বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ০৩:১৬ অপরাহ্ন

আমন মৌসুমে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হচ্ছে না

ক্রাইম ফোকাস ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বুধবার, ৪ মার্চ, ২০২০
  • ১৮৯ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক :আমন মৌসুমে সরকার অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে আশানুরূপ ধান সংগ্রহ করতে পারলেও চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হচ্ছে না। সরকার চলতি আমন মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ৬ লাখ ২৬ হাজার ৯৯১ টন ধান ও ৩ লাখ ৮১ হাজার ৫১৮ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। তার মধ্যে ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৮ টন সিদ্ধ চাল ও ৪৩ হাজার ৯০০ টন আতপ চাল। প্রতি কেজি ২৬ টাকা দরে ধান, ৩৬ টাকা দরে সিদ্ধ চাল ও ৩৫ টাকা দরে আতপ চাল সংগ্রহ করা হচ্ছে। গত বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে সংগ্রহের অভিযান শুরু হয়ে আগামী ৫ মার্চ তা শেষ হচ্ছে। তবে ধান সংগ্রহে রীতিমতো রেকর্ড করতে যাচ্ছে সরকার। অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে আমন ধান সংগ্রহের পরিমাণ ৬ লাখ টন ছাড়িয়ে গেছে। যা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে মাত্র ২৬ হাজার টন কম। ধারণা করা হচ্ছে সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে যাবে। কিন্তু চাল সংগ্রহে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হচ্ছে না। নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে চাল সংগ্রহের পরিমাণ এখনো ১ লাখ টন কম রয়েছে। খাদ্য অধিদফতর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, এবার ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের দিকে গেলেও চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। সরকার ৩ লাখ ৮১ হাজার ৫১৮ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেও এখন পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ ৭৫ হাজার টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। ওই হিসেবে এখনো ১ লাখ টনের বেশি পরিমাণ চাল সংগ্রহ বাকি রয়েছে। হাতে রয়েছে আর মাত্র দু’দিন। ফলে এই সময়ের মধ্যে কোনোভাবেই চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব নয়। কারণ বর্তমানে বাজারে চালের দাম বাড়তি। তাই মিলাররা সরকারের গুদামে চাল সরবরাহে আগ্রহী নয়।
সূত্র জানায়, ইতিপূর্বে আমন মৌসুমে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টন ধান সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে হয়েছে। মূলত মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য, ধানের মানসহ নানা জটিলতার কারণে বড়ো লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেও ধান সংগ্রহের পরিমাণ বাড়ানো যায়নি। কিন্তু এবার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ইতিমধ্যে ৬ লাখ টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। এমনকি নায্যমূল্য দিতে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা হয়েছে। এবারই প্রথম মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে দেশের ১৬ জেলার ১৬টি উপজেলার কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা হয়েছে। তবে প্রতিবারের মতো এবারও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থক থেকে শুরু করে মধ্যস্বত্বভোগীদের সরকারের গুদামে ধান দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এমনকি মৃত কৃষক, প্রবাসী ব্যক্তির কৃষি কার্ড ব্যবহার করে গুদামে ধান দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সূত্র আরো জানায়, সরকার গত বছরের ১ ডিসেম্বর সংগ্রহ অভিযান শুরু করলেও প্রথমদিকে সংগ্রহ অভিযানে তেমন জোর দেয়া হয়নি। তখন ধানের দাম কম থাকায় চালের দামও কম ছিল। ওই সময় চাল সংগ্রহে জোর দিলে লক্ষ্যমাত্রাও পূরণ হতো, কৃষকও ধানের নায্যমূল্য পেতো।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর