সিলেট প্রতিনিধিঃ সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির গলার কাঁটা এখন নিজেরাই। অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে দল আর জোট থেকে মেয়র প্রার্থী হয়েছেন তিনজন। বিগত নির্বাচনে জয় পাওয়া বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী এবার তাই পড়ছেন পরাজয়ের শঙ্কায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঘিরে অনেকটা প্রকাশ্যে চলে এসেছে সিলেট বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের কোন্দলের বিষয়টি। নানা ঘটনার পর মেয়র প্রার্থী হিসেবে সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী মনোনয়ন পেলেও তা মেনে নেননি ২০ দলের অনেক নেতা। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর জামায়াতের আমির। তারা বলছেন দলের মনোনীত প্রার্থীর প্রতি কারও আস্থা নেই।
এ বিষয়ে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী বদরুজ্জামান সেলিম বলেন, কথা ছিল আমি মনোনয়ন পাব। কিন্তু কোন ইশারায় আরেকজন ব্যক্তির হাতে ধানের শীষের প্রতীক তুলে দেয়া হয়েছে বুঝতে পারিনি। যেটাকে আমি মনে করি ভুল।
তিনি আরও বলেন, ৩৯ বছর আমি দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাইনি। কিন্তু এবার নগরবাসী এবং দলীয় নেতাকর্মীর চাপে নাগরিক কমিটির ব্যানারে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছি।
সিলেট জেলা জামায়াতের আমির এহসানুল মাহবুব বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত ও বন্ধুদের সমর্থন নিয়েই আমি এবার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি।
তবে সিলেট বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন এটি সরকারের ষড়যন্ত্র।
সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ বলেন, আরিফুল হক বিগত সময়ে যখন নির্বাচন করেছেন তখন আরিফুল হককে পরীক্ষা করার সুযোগ হয়নি। কিন্তু এ বছর আরিফুল হক জনগণের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েই প্রার্থী হয়েছেন।
সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন বলেন, দল মনোনয়ন দিয়েছে আরিফুল হক চৌধুরীকে। এর বিরুদ্ধে দলের দায়িত্বশীল এক ব্যক্তি প্রার্থী হয়েছেন। আমরা মনে করি নিশ্চয় তিনি একটি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এবং সরকারের সঙ্গে আতাঁত করে তার প্রার্থিতা অব্যাহত রেখেছেন।
অবশ্য বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত নন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আরিফুল হক। তার দাবি, ষড়যন্ত্র করে নির্বাচনে জয় পেতে চাইছে সরকারি দল। তিনি বলেন দলের মধ্যে সহমর্মিতা রয়েছে। চিন্তা করার মতো কিছু নেই।
২০১৩ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বদর উদ্দিন আহমদ কামরানকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছিলেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী।