স্পোর্টস ডেস্ক :কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম ম্যাচে শুক্রবার নিঝনি নভগোগ্রাদে মুখোমুখি হয় ফ্রান্স ও উরুগুয়ে।নিজেদের শক্তিমত্তার প্রমাণ রেখে উরুগুয়েকে ২-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে পা রাখলো জিনেদিন জিদানের উত্তরসূরিরা।
ইনজুরির কারণে কাভানিকে ছাড়াই মাঠে নামে পূর্ণ শক্তির উরুগুয়ে।অন্যদিকে পুরো শক্তি নিয়ে মাঠে নেমে ফল হাতেনাতে পেলো তারা। বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ তৈরি করলেও দক্ষ ফিনিশারের অভাবে গোল পেতে পেতে পায়নি তারা।
ম্যাচের তিন মিনিটেই আক্রমনে যায় উরুগুয়ে। দারুণ একটি সুযোগকে চারবার প্রচেষ্টার পরেও জালে জড়াতে পারেনি তারা। এসময় হয়তো উরুগুয়ে সমর্থকগণ কাভানিকে বেশ ভালোভাবেই মিস করেছে। এর এক মিনিট পরেই আরও একটি আক্রমণ জালের মুখ খুলতে পারেনি উরুগুয়ের জন্য। ম্যাচের ১৫মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে একটি দূরপাল্লার শট প্রবেশ করে উরুগুয়ের পেনাল্টি বক্সে। অলিভিয়ের জিরুর মাথার ছোঁয়া থেকে গোলপোস্টের সামনে হেডের সুযোগ পান এমবাপ্পে। কিন্তু তার করা হেডটি গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায়।
ম্যাচের ৩১মিনিটে ডি বক্সের বাম পাশ থেকে পাভারডের দারুণ একটি ক্রসিং পা ছোঁয়াতে পারেননি অলিভিয়ের জিরু কিংবা এমবাপ্পের কেউই। ফলে প্রায় সহজ একটি সুযোগ নষ্ট হয় ফরাসিদের। মাচের ৩৩মিনিটে নান্দেজকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন হার্নান্দেজ। ৩৬ মিনিটে গোলপোস্টে নেয়া উরুগুয়ান তারকা ভিকিনোর দুর্বল শট ফরাসি গোলরক্ষককের গ্লাভস বন্দি করতে কোনো সমস্যা হয়নি। ৪০মিনিটে তোলাইসোকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন উরুগুয়ান মাঝমাঠের তারকা ভেংকাটাংকুর।
খেলার ৪১মিনিটেই এগিয়ে যায় ফরাসিরা। ডি বক্সের বাম দিক থেকে নেয়া গ্রিজমানের ফ্রি কিকে মাথা ছুঁয়ে ফ্রান্সকে ১-০তে এগিয়ে দেন ভারানে। ম্যাচের ৪৪ মিনিটে তোরেইরার নেয়া ফ্রি কিক থেকে দুর্দান্ত হেড করেছিলেন ক্যাসেরেস। কিন্তু ফরাসি গোলরক্ষক লরিস আরও দুর্দান্ত এক সেভে রক্ষা করেন ফ্রান্সকে। এর ফলে ১-০তে এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করে গ্রিজমানরা।
প্রথমার্ধে পিছিয়ে যাবার পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে উরুগুয়ে। গোল শোধের জন্য মরিয়া হয়ে উঠতে বেশ কয়েকটি সাঁড়াশি আক্রমণ চালায় ফ্রান্স রক্ষণভাগে। ৫৬মিনিটে দারুণ একটি আক্রমণে গোলের দেখা পায়নি আবারও সেই ফিনিশিং দক্ষতার অভাবে।
৬১মিনিটে ফ্রান্সের দারুণ একটি কাউন্টার এটাকে এমবাপ্পে থেকে বল পান গ্রিজমান। ডি বক্সের বাহির থেকে নেয়া গ্রিজমানের গতির একটি শট প্রথমত উরুগুয়ান গোলরক্ষকের হাতে লেগে জালে জড়িয়ে পড়ে। তবে এ গোলে গ্রিজমানের অবদানের চেয়ে মুসলারের বলের গতি বিচার করার ভুলটিই বেশি চোখে পড়বে।
এমন শট হারহামেশাই গোলরক্ষকরা সেভ করে থাকেন। আর এর ফলে ২-০তে এগিয়ে গিয়ে সেমিফাইনালের দিকে প্রায় এক পা দিয়ে রাখে ফরাসিরা। ৭৩ মিনিটে আরও একটি আক্রমণ চালায় ফ্রান্স। ডি বক্সের বাহির থেকে নেয়া তোলিসোর শটটি উরুগুয়ে গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায়।
ম্যাচের বাকি সময় দুই দলই বেশকিছু আক্রমনের চেষ্টা করলেও কেউই কারো রক্ষণভাগে বড় কোনো সংশয় তৈরি করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ২-০তে জিতেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফ্রান্স। সেমিফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ হবে ব্রাজিল ও বেলজিয়াম ম্যাচের জয়ী দল।