নিজস্ব প্রতিনিধি:মুলাদীতে শিক্ষকের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার তিন দিন অতিবাহিত হলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। গত ১৯ জুলাই বিকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের চরলক্ষ্মীপুর বোর্ড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মির্জা নোমানের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার না করায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বখাটে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে শিক্ষার্থীরা ২০ জুলাই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করলেও পুলিশের কোনো টনক নড়েনি বলে অভিযোগ রয়েছে।
মুলাদী থানা পুলিশ আসামীদের গ্রেফতারে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। চরলক্ষ্মীপুর বোর্ড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মহিউদ্দীন আহমদ জানান গত ১৮ জুলাই কতিপয় বখাটে বিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত ও দেয়ালে আজে-বাজে কথা লেখার সময় সহকারী শিক্ষক মির্জা নোমান তাদের বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বখাটেদের গডফাদার স্থানীয় আইনুল হক মোল্লার নেতৃত্বে শাওন, সিয়াম, সজিবসহ ১০/১২জন রামদা, লাঠিসোটা নিয়ে মির্জা নোমানের বাড়িতে প্রবেশ করে হামলা চালিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা চালায়। হামলা নোমানের দুই হাতের বেশ কয়েকটি আঙুল ভেঙ্গে যায় এবং মাথা ফেটে যায়। স্থানীয়রা নোমানকে উদ্ধার করে মুলাদী হাসপাতলে ভর্তি করে।
পরবর্তীতে স্কুল শিক্ষক মির্জা নোমানের অবস্থার অবনতি হলে গতকাল রবিবার সকালে তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় মির্জা নোমান বাদী হয়ে ১৯ জুলাই বিকালে আইনুল হক মোল্লাসহ ১২জনের বিরুদ্ধে মুলাদী থানায় মামলা দায়ের করে। উপজেলা শিক্ষক সমিতি (কামরুজ্জামান) এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন স্কুল শিক্ষকের ওপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।
উপজেলা বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রধান শিক্ষক মোঃ এনায়েত হোসেন ঘটনার সাথে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এ ব্যাপারে মুলাদী থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ জিয়াউল আহসান জানান হামলাকারীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় তাদের গ্রেফতার সম্ভব হচ্ছে না। তবে আসামীদের ধরার জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যহত রয়েছে।