স্পোর্টস ডেস্ক:প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জয়ে স্বাদ পেতে হলে ইংল্যান্ডকে করতে হবে ২৪২ রান। বিশ্বকাপের ফাইনালে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা নিউ জিল্যান্ডকে ৫০ ওভারে ২৪১ রানে আটকে দিয়েছে ইংল্যান্ড।২৪১ রানের লক্ষ্যে এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত ইংল্যান্ডের স্কোর ২৩ ওভারে ৪ উইকেটে ৮৬রান । শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়েছেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ইয়ন মরগান।
রোববার (১৪ জুলাই) লর্ডসে চলমান ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ফাইনালে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
কিউই পেসারদের চমৎকার বোলিংয়ে মোটেও সুবিধা করতে পারছিলেন না জো রুট। ফাইনালের চাপ সম্ভবত নিতে পারছিলেন এই ব্যাটসম্যান। শেষ পর্যন্ত ৩০ বলে মাত্র ৭ রান করে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন তিনি।
দ্বিতীয় জীবন নিয়েও ইনিংস বড় করতে পারলেন না জনি বেয়ারস্টো। লকি ফার্গুসনের বলে বোল্ড হয়ে গেছেন ইংলিশ ওপেনার। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৫৫ বলে ৭ বাউন্ডারিতে করেন ৩৬ রান।
জেসন রয়ের বিদায়ের পর ক্রিজে এসে শুরু থেকেই ভুগছিলেন রুট। যা কাটিয়ে উঠতে পারলেন না তিনি। গ্র্যান্ডহোমের করা বাইরের বল তার ব্যাটে লেগে আশ্রয় নেয় উইকেটরক্ষক টম ল্যাথামের গ্লাভসে। ইংলিশরা ৫৯ রানে হারায় দ্বিতীয় উইকেট।
বিশ্বকাপে ব্যাটিংয়ে ইংল্যান্ডের দারুণ শুরুর ভিত গড়ে দিয়েছেন তিনি প্রায় সব ম্যাচেই। ফাইনালেও জেসন রয়ের ব্যাটে ছিল উজ্জ্বল সম্ভাবনা। যদিও তাকে বেশিদূর যেতে দেননি ম্যাট হেনরি। এই পেসারের বলে ১৭ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন রয়।
শুরুতে বেশ ভুগলেও একটু সময় নিয়ে মারমুখী হয়ে উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু ম্যাট হেনরির আউট সুইং বলটি ঠিকঠাক বুঝে উঠতে পারেননি রয়। বল তার ব্যাট স্পর্শ করে জমা পড়ে উইকেটরক্ষক টম ল্যাথামের গ্লাভসে। ২০ বলের ইনিংসে মেরেছেন তিনি ৩ বাউন্ডারি।
আবারও জ্বলে উঠলেন ইংলিশ বোলাররা। সেমিফাইনালের মতো ফাইনালেও তারা দুর্দান্ত। যাতে লর্ডসের শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে নিউজিল্যান্ডকে অল্পতেই আটকে রাখতে পেরেছে ইংল্যান্ড। হেনরি নিকোলসের হাফসেঞ্চুরির সঙ্গে টম ল্যাথামের প্রতিরোধে নির্ধারিত ৫০ ওভারে কিউইদের স্কোর ৮ উইকেটে ২৪১ রান।
শেষ চারের লড়াইয়ে ক্রিস ওকস ছিলেন দুর্দান্ত। ফাইনালেও বল হাতে আগুন ঝরালেন তিনি। শুরুতেই ইংলিশদের সাফল্য এনে দেওয়া এই পেসার ৯ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে পেয়েছেন ৩ উইকেট। তবে সবচেয়ে কার্যকরী ছিলেন লিয়াম প্লাঙ্কেট। ১০ ওভারে ৪২ রান খরচায় তার শিকার কেন উইলিয়ামসন (৩০), হেনরি নিকোলস (৫৫) ও জিমি নিশাম (১৯)।
মার্টিন গাপটিলের আউটের পর নিকোলস ও উইলিয়ামসন ৭৪ রানের জুটি গড়ে চাপ কাটিয়েছিলেন। কিন্তু অধিনায়কের আউটের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে কিউইরা। গতবারের রানার্স-আপের রান তবু অতদূর গিয়েছে ল্যাথামের প্রতিরোধে। এই ব্যাটসম্যান ৫৬ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৪৭ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলে আউট হন ওকসের বলে। এর আগে এই পেসারের শিকার হয়েই প্যাভিলিয়নে ফেরেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম (১৬)।
ইংলিশ পেসার লিয়াম প্লাংকেট ১০ ওভারে ৪২ রান দিয়ে তুলে নেন তিনটি উইকেট। মার্ক উড ১০ ওভারে ৪৯ রান খরচায় তুলে নেন একটি উইকেট। বেন স্টোকস ৩ ওভারে ২০ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। ৮ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন স্পিনার আদিল রশিদ। ক্রিস ওকস ৯ ওভারে ৩৭ রান খরচায় তুলে নেন তিনটি উইকেট। জোফরা আর্চার ১০ ওভারে ৪২ রান দিয়ে পান একটি উইকেট।