বিনোদন ডেস্ক:পপ সম্রাট মাইকেল জ্যাকসনের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। স্নায়ু শিথিল করতে অতিরিক্ত ওষুধ সেবনে ২০০৯ সালের এই দিনে লস এঞ্জেলেসের নিজ বাসায় মারা যান তিনি।
জ্যাকসন পরিবারের ৭ম সন্তান মাইকেল একজন মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী, নৃত্যশিল্পী এবং সমাজসেবক ছিলেন। চার ভাইকে সাথে নিয়ে মাত্র ৬ বছর বয়সে পেশাদার জগতে পা রাখেন তিনি। এককভাবে কাজ করেন ৭১ সালে। তবে বিশ্বজুড়ে উন্মাদনা ছড়ান আরো এগার বছর পর। ১৯৮২ সালে তার থ্রিলার অ্যালবাম ভেঙে দেয় পৃথিবীর সব রেকর্ড।
অলটাইম হিটসের তালিকায় আছে – অফ দ্য ওয়াল (১৯৭৯), ব্যাড (১৯৮৭), ডেঞ্জারাস (১৯৯১) এবং হিস্টরি (১৯৯৫)।
সর্বকালের সবচেয়ে সফল বিনোদন তারকা হিসেবে গিনেস বুকেও জায়গা পেয়েছেন তিনি।
প্রায়শই তাঁকে পপ সঙ্গীতের রাজা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় অথবা, সংক্ষেপে তাঁকে এমজে নামে অভিহিত করা হয়। সঙ্গীত, নৃত্য এবং ফ্যাশন জগতসহ ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষাপটে চার দশকেরও অধিককাল ধরে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বৈশ্বিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছেন।
১৯৮০র দশকে মাইকেল সঙ্গীত শিল্পীদের মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌছান। তিনি প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী যিনি এমটিভিতে এতো জনপ্রিয়তা পান। বলা হয়, তাঁর গাওয়া গানের ভিডিওর মাধ্যমেই এমটিভির প্রসার ঘটেছিলো। গানের তালে তালে মাইকেলের নাচের কৌশলগুলোও ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। মাইকেলের জনপ্রিয় নাচের মধ্যে রবোট, ও মুনওয়াক (চাঁদে হাঁটা) রয়েছে। মুনওয়াক আসলে হলো সামনের দিকে হাঁটার দৃষ্টিভ্রম সৃষ্টি করে পিছনে যাবার ভঙ্গিমা। এখন সারাবিশ্বের সকল নৃত্যশিল্পীরা মাইকেল জ্যাকসনকে প্রায়ই শ্রদ্ধা জানিয়ে থাকেন।
মাইকেল জ্যাকসন দু’বার রক অ্যান্ড রোল হল অফ ফেইমে নির্বাচিত হন। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে মাইকেল সর্বকালের সবচেয়ে সফল শিল্পী – ১৩টি গ্র্যামি পুরস্কার, ১৩টি ১নম্বর একক সঙ্গীত, এবং ৭৫ কোটি অ্যালবাম বিক্রয়ের রেকর্ড মাইকেলের রয়েছে। শিল্পী হিসেবে পুরো বিশ্বে তাঁর খ্যাতি ছিলো। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি নানা কেলেঙ্কারিতে জড়ালেও প্রায় ৪০ বছর ধরে সারাবিশ্বে বিখ্যাত হয়ে ছিলেন।