বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ০৪:১৫ অপরাহ্ন

ফেসবুককে আর বিশ্বাস নয়!

ক্রাইম ফোকাস ডেস্ক :
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৮ জুন, ২০১৮
  • ১০৯ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্কঃবিগত বেশ কয়েকটি প্রাইভেসি স্ক্যান্ডাল ফেসবুকের বিশ্বাসযোগ্যতাকে বিশাল প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে। প্রতিষ্ঠাটা মার্ক জাকারবার্গকে তো এক বছরের মধ্যে বহুবার ক্ষমা চেয়েছেন ফেসবুক ইউজারদের কাছে। শুরুতে ফেসবুকের সাম্প্রতিক স্ক্যান্ডাল গুলোর দিকে আলোকপাত করা যাক:

যুক্তরাজ্যভিত্তিক ডেটা অ্যানালিসিস ফার্ম ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা কর্তৃক বেআইনিভাবে প্রায় ৫ কোটি ফেসবুক গ্রাহকের তথ্য ফাঁস হয়ে যায়। এই তথ্যগুলো গত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় কাজে লাগানো হয়, অথচ গ্রাহকরা এ ব্যাপারে কিছুই জানতেন না। তখনই ৩৩ বছর বয়সী জাকারবার্গের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ ওঠে। যদিও জাকারবার্গের দাবি, তার অগোচরেই গ্রাহকদের তথ্য ‘হ্যাক’ করা হয়েছে, তবুও বিশ্বের নম্বর ওয়ান সোশাল নেটওয়ার্ক এর কর্ণধার হিসেবে এত বড় অভিযোগ এড়ানোর মত যুক্তিযুক্ত কোনো কারণ তার কাছে ছিল না।

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের সময়ই রাশিয়া অনেক বানোয়াট গুজব ও ফেক নিউজ ছড়িয়ে দেয় ফেসবুকের মাধ্যমে, যা চূড়ান্ত নির্বাচনকে প্রভাবিত করে। এর মোকাবিলায় ফেসবুক কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

ফেসবুকের লাইভ এ এসে হত্যাকাণ্ড বা সুইসাইডের মত নারকীয় ঘটনা সম্প্রচার করেছেন অনেকে।

ইলেকট্রনিক্স ফ্রন্টিয়ার ফাউন্ডেশনের স্টাফ এটর্নি জেইমি উইলিয়ামস তো বলেই দিলেন, ‘ফেসবুক আপনার যতটা ব্যক্তিগত তথ্য জানে, আপনার ফোনকল ট্যাপ করা হলেও এত তথ্য জানা সম্ভব ছিল না।’

ইউগভ এবং দ্য ইকোনমিস্টের একটি গবেষেণা প্রতবেদন প্রকাশ করছে ই-মার্কেটার, যেখানে বলা হচ্ছে মাত্র ২৪ শতাংশ আমেরিকান ফেসবুক ব্যবহারকারীরা মনে করছেন, ফেসবুক তার গ্রাহকদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা জোরদারে এগিয়ে আসবে।

একই গবেষণা প্রতিবেদনে পাওয়া যায়, ২০১৭ সালেও ৭৯ শতাংশ গ্রাহক ফেসবুক ব্যবহার নিরাপদ মনে করতেন। কিন্তু ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা স্ক্যান্ডাল ফাঁসের পর এই হার ২৭ শতাংশে নেমে এসেছে। যুক্তরাজ্যে তো ছয় শতাংশ গ্রাহক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিলেটই করে দিয়েছেন। অনেকেই ফেসবুকের বিজ্ঞাপন এবং ফেসবুক লিংকড অ্যাপ গুলো থেকে দূরে থাকছেন।

রিসার্চ কোম্পানিগুলোর মতে ফেসবুক এশিয়াতে বেশ শক্ত অবস্থানে থাকলেও ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকাতে এর প্রসার থেমে যাচ্ছে। যদিও ফেসবুক এখনো এরকম ফলাফল ধর্তব্য মনে করছে না।

কিন্তু একটা বিষয় পরিষ্কার, ফেসবুককে কতটুকু বিশ্বাস করবেন, সেটা এখন গ্রাহকদের বিচার বিবেচনার উপরই দাঁড়িয়ে আছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর