বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ০৪:৩৩ অপরাহ্ন

দাম না থাকায় গাছেই পাকছে আম

ক্রাইম ফোকাস ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৬ জুন, ২০১৮
  • ১১৬ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহী প্রতিনিধি :বাজারে আমের দাম নেই। গাছে গাছে ঝুলছে পাকা আমের থোকা।

চাষিরা দাম কম থাকায় গাছ থেকে আম নামাচ্ছে না। তাই গাছেই নষ্ট হচ্ছে আম। চাষিরা লোকসানের আশংকায় হতাশ হয়ে পড়েছে। এবারে আমের ভরা মৌসুমে রমজান থাকায় এবং তীব্র গরম আর তাপদাহের কারণে সব আমই পাকছে আট থেকে দশ দিন আগে।

গত বছরের তুলনায় আবহাওয়া অনেকটা অনুকূলে থাকায় এ বছর প্রচুর পরিমাণ গাছে মুকুল আসে। সেই সাথে প্রাকৃতিকভাবে গাছের পরিচর্যা করায় গাছে আশানুরূপ আমের ফলন হয়। তবে গত মৌসুমের মতো আম চাষে ফরমালিনের ধোয়া তুলে প্রশাসন কঠোর অবস্থানের ফলে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানিয়েছেন। কারণ এ বছর তীব্র তাপদাহ ও গরম আবহাওয়ার কারণে সময়ের আগে গাছেই আম পাকতে শুরু করে।

আমের রাজধানী রাজশাহীতে আশ্বিনা ছাড়া বিভিন্ন জাতের গুটি আম গাছেই পাকতে শুরু করেছে। গোপালভোগ ও দেশি গুটি আম প্রায় শেষের পথে। গত বছরের তুলনায় এ বছর রাজশাহীতে আমের দাম তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় হতাশ এ অঞ্চলের আম চাষিরা। গত বছর আম চাষ করে লাভের মুখ দেখলেও এ বছর লোকসান গুনতে হবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। আর এর কারণ হিসেবে তাপদাহ, রমজান ও সর্বোপুরি প্রশাসনের আম পাড়া ও বাজারজাতকরণে নিষেধাজ্ঞাকে দায়ি করছেন অনেকে।

সরেজমিনে আম চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাজশাহীর শ্যামপুর, কাশিয়াডাঙ্গা, পবার বিভিন্ন এলাকা, পুঠিয়া, চারঘাট ও বাঘা উপজেলার কিছু অংশ ঘুরে দেখা যায়, প্রায় গাছেই পাকা আম ঝুলছে। কারণ জানতে চাইলে অনেকে বলেন রমজানের কারণে আম খাচ্ছে না। তাই বাজারে দাম অনেক কম। আবার বিদেশে রফতানির কথা থাকলেও আজ পর্যন্ত এক কেজি আমও বিদেশে নেয়নি। মৌসুমের শুরুতে কিছু আম বিদেশে গেলেও বিভিন্ন অভিযোগ তুলে তারা আম ফেরৎ পাঠিয়েছে।

প্রশাসন থেকে আম চাষিদের ২০ মে থেকে শুরু হয় আম বাজারজাত করণ। কিন্তু আগে থেকেই গোপালভোগ ও দেশি গুটি আম পাকতে থাকে। ফলে প্রশাসন কর্তৃক জারি করা সময়ের আগেই গাছে গাছে আম পাকতে শুরু করে। কিন্তু, আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ঘোষণার ফলে এ বছর গাছেই আম পেকে ঝরে পড়ে যায়। আবার সব আম চাষি এক সঙ্গে গাছ থেকে আম নামিয়ে বাজারজাত করতে গিয়ে প্রচুর আমদানি ও রোজার সামনে ঈদের কারণে বাজারে আমের দাম ধ্বস নেমেছে। ফলে আম চাষি ও বিক্রেতাদের লাভে গুড়েবালি।

রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলীম উদ্দিন জানান, এখনও যেসব গাছে আম আছে তাতে মোটামুটি ভালো ফলন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, তীব্র গরমের কারণে আম পাকার মৌসুম শুরু হয় আট থেকে দশদিন আগেই। ইতিমধ্যে গোপালভোগসহ বিভিন্ন গুটি আম শেষ হয়েছে। শেষের পথে খিরসাপাত বা হিমসাগরও লকনা, বৃন্দাবনি ও বিভিন্ন গুটি আম। ১ জুন থেকে প্রথম সপ্তাহে বাজারে উঠবে ল্যাংড়া, কৃষাণভোগ জাতের আম বাজারে আসতে শুরু করেছে। এরপর উঠবে ফজলি আম। একদম শেষে আশ্বিনা। তবে দামের বিষয়টি নির্ভর করে চাহিদা ও মনিটরিং সেলের ওপর।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর