নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সারাবছর দেশবাসীর স্রোত থাকে নগরমুখী, আর ঈদে থাকে উল্টো চিত্র। শহর ছেড়ে গ্রাম আর মফস্বলের দিকে থাকে জনস্রোত। আর চির কোলাহলের মহানগর হয় ফাঁকা। শনিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করবে দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। নাড়ির টানে মানুষের ঘরে ফেরায় ঢাকা এখন ফাঁকা।
এখন নেই দীর্ঘ যানজট আর গাড়ির শব্দ। পথে পথে দুর্ভোগ, রাস্তা ও ফুটপাথে পথচারীদের ভিড়ও উধাও। গাড়ির ধীর গতি নয়, বরং পাওয়া যায় রাস্তায় চাকার ঘর্ষণের শব্দ।
রাজধানী ঘুরে দেখা গেছে অল্প কিছু প্রাইভেট কার, অটেরিকশা, মোটর সাইকেল আর প্রধান সড়কে রিকশার চলাচল।
রাস্তার ওপর রিকশার ঘণ্টার টুংটাং শব্দ, দু-চারটি বাস-গাড়ির সশব্দে ছুটে চলা, অল্প কিছু লোকের হেঁটে চলা এই ছিল রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র গুলিস্তানের শুক্রবার সকালের চিত্র।
তবে এর মধ্যেও যারা বাসে চলাচল করছেন, তারাও কিছুটা ঝামেলায় পড়ছেন। কারণ, পর্যাপ্ত বাসের অভাব। নগর পরিবহনে চলাচলকারী বাসের শ্রমিকদেরও কেউ কেউ চলে গেছেন বাড়িতে, কোনো কোনো বাস আবার ছুটেছে আশেপাশের জেলার দিকে। আর যাত্রী মিলবে না ভেবে রাস্তায় নামেনি একটি অংশ। সব মিলিয়ে তৈরি হয়েছে এই চিত্র।
আবার বাসে উঠলেও মানতে হচ্ছে ঈদ বকশিসের দাবি, এমনিকেই নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি আদায় করা যানবাহনগুলো সেই অতিরিক্ত ভাড়ার চেয়েও দ্বিগুণ আদায় করছে যাত্রীদের কাছ থেকে।
ফারুক আলমের বাসা রাজধানীর মাতুয়াইলে। অফিস করবেন কারওরান বাজার। সকাল আটটা থেকে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কোনো গাড়ি পাননি তিনি।