নিজস্ব প্রতিনিধিঃআরবী ক্যালেন্ডার ও রমজানের চাঁদ মেনে আর একদিন পরই পবিত্র ঈদ উল ফিতর। হয়তো শুক্রবার শেষ বিকেলেই উঠবে সাওয়ালের চাঁদ। তাই শেষ মুর্হূতের ঈদ কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছে শহর-বন্দর গ্রামগঞ্জ। তবে এরইমধ্যে ঈদের প্রভাব পড়েছে কাঁচা বাজারে। বেড়েছে বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম। অতিথি আপ্যায়নে সেমাই, পায়েস ও মাংসের বিভিন্ন পদ আয়োজনে ব্যস্ত নগরবাসী। আর সে কারণেই বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচা বাজারে দেখা গেছে মানুষের উপচেপড়া ভীড়।
পুরো রমজানে বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম বাড়লেও, বাড়েনি সেমাইয়ের দাম। এছাড়া চিনির দামও রয়েছে স্থিতিশীল। পোলাওয়ের চালের দাম বেড়েছে দু থেকে তিন টাকা।
বাজারে খোলা সেমাই ছাড়াও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের লাচ্ছা সেমাই বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্যাকেটজাত সেমাই। ব্রান্ডগুলোর মধ্যে রয়েছে- কুলসুন, প্রাণ, কিশোয়ান, বনফুল, মধুবন, আলাউদ্দিন, ফু-ওয়াং, বিডি ফুডস, প্রিন্স ফুডস, ডেনিশ, পুষ্টি ও ডায়মন্ড। এসব লাচ্ছা সেমাইয়ের ২০০ গ্রামের প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। এছাড়া ৫০০ গ্রামের স্পেশাল লাচ্ছা বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১২০ টাকায়। সেই সঙ্গে মানভেদে প্রতি কেজি খোলা লাচ্ছা সেমাই বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত।
প্রতি কেজি প্যাকেট জাত চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা করে। আর খোলা চিনি প্রতি কেজি ৫৬ টাকা।
নগরীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে এসেছেন বেসরকারি উন্নয়ন কর্মী হাফিজুর রহমান। তিনি জানান, খোলা বাজারে সেমাই ভেজালমুক্ত কিনা সন্দেহ রয়েছে। তাই ব্রান্ডের সেমাই কিনছি।
আরেকজন ক্রেতা আয়েশা আক্তারও জানান তেমনটা।
এদিকে, কুরবানীর ঈদ না হলেও, হঠাৎ বেড়েছে মসলার দাম। গত সপ্তাহ এলাচ ১৫০০শ টাকা কেজি থাকলেও, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১৬০০শ টাকায়। ইরানি জিরা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪১০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৩৯০ টাকা কেজি দরে। তবে ইন্ডিয়ান জিরার দাম কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে।
এছাড়া লবঙ্গ ১১৫০ টাকা, কালো জিরা ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে কিসমিস মানভেদে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, দারুচিনি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা, কাচা বাদাম ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে, বেড়েছে মাংসের দাম। বাজারভেদে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫২০ থেকে ৫৫০টাকা দরে। খাসির মাংস প্রতি কেজি ৭৮০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
দেশি মুরগী (মাঝারি) ৩৫০ থেকে ৩৮০ টাকা, ব্রয়লার মুরগী প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০টাকায়। কক মুরগী ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মহাখালীর এক মুরগী বিক্রেতা জানান, আগামী দুই দিন বাড়তি দাম থাকবে। পাশাপাশি সরবরাহ কম বলেও জানান তিনি।
সালাদ ছাড়া ঈদ ভোজন যেন কল্পনার অতীত। সেই সালাদের উপকরণ শসা বাজার ভেদে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে। আর ধনে পাতা এক আঁটি ২০ থেকে ৩০টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য সবজির দাম বেড়েছে ৪/৫ টাকা করে।