শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩, ০২:১২ পূর্বাহ্ন

সোশ্যাল মিডিয়ার বিজ্ঞাপন

ক্রাইম ফোকাস ডেস্ক :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১২ জুন, ২০১৮
  • ১৩৩ বার পড়া হয়েছে

সম্পাদকীয়

বাংলাদেশ দ্রুত ডিজিটাইজেশনের পথে এগিয়ে চলেছে। প্রতিনিয়ত বাড়ছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা। সেই সঙ্গে বাড়ছে বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে পণ্যসামগ্রীর বিজ্ঞাপন। দেশে সংবাদপত্রে প্রদত্ত বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ ভ্যাট এবং ৪ শতাংশ উেস কর দিতে হয়। কিন্তু অনলাইনের এসব বিজ্ঞাপনের জন্য এখনো কোনো কর দিতে হয় না। ফলে ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব, টুইটারের মতো আন্তর্জাতিক সোশ্যাল মিডিয়াগুলো বাংলাদেশ থেকে বছরে ৫০০ কোটি টাকার মতো আয় করলেও বাংলাদেশকে কোনো কর দেয় না। ২০১৮-১৯ সালের বাজেটে এই আয়ের ওপর করারোপের প্রস্তাব করা হলেও এই ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রয়োজনীয় বিধিমালা না থাকায় তাদের কাছ থেকে কর আদায় করা কঠিন হবে। অন্যদিকে বাংলাদেশে এদের কারো অফিস না থাকায় তাদের করযোগ্য বিজ্ঞাপনী আয়ের হিসাব পাওয়া এবং তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা আরো কঠিন হবে। ফলে সংবাদপত্র এবং সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপনদাতারা বৈষম্যের শিকার হতেই থাকবেন।
সাম্প্রতিক সময়ের তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, দেশীয় উৎপাদকরা ক্রমে বেশি করে এসব সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দিতে শুরু করেছেন। ভ্যাট বা উেস কর দিতে হয় না বলে এ ক্ষেত্রে তাঁরা আর্থিক দিক থেকে লাভবান হচ্ছেন। ফলে যেমন ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশের বাইরে অর্থ চলে যাচ্ছে, তেমনি হুন্ডিসহ অন্যান্য নন-ব্যাংকিং চ্যানেলেও বিপুল অর্থ যাচ্ছে। দেশের অর্থনীতির জন্য এটা মোটেও সুখকর নয়। এজন্য দ্রুত প্রয়োজনীয় বিধিমালা করে সোশ্যাল মিডিয়ার বিজ্ঞাপনী আয়কে করের আওতায় আনতে হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা। প্রস্তাবিত বাজেটের করারোপ নিয়ে অনেক সমালোচনা রয়েছে। অনেক অর্থনীতিবিদ মনে করছেন, যাঁরা করের আওতায় আছেন, তাঁদের ওপরই করের বোঝা বেশি করে চাপানো হচ্ছে। অথচ করযোগ্য আয়ের অনেক ব্যক্তি অনেক খাতে রয়েছেন, যাঁরা কর দেন না, তাঁদের করের আওতায় আনার বিশেষ উদ্যোগ দেখা যায় না। এফবিসিসিআই, বিজিএমইএর পক্ষ থেকেও এমন দাবি করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে এত বড় একটি খাতের আয় কেন করের আওতায় আসবে না? এমনিতে দেশের সংবাদপত্রশিল্প এখন অস্তিত্বের সংকট মোকাবেলা করছে। তাই অনেকেই মনে করছেন, সোশ্যাল মিডিয়ার বিজ্ঞাপনী আয়কে করের আওতায় এনে সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপনী আয়ে করের বোঝা কিছুটা কমানো যেতে পারে। আমরা চাই, সরকার এ ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিক।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর