নিজস্ব প্রতিনিধিঃ গত ৭ জুন ২০১৮ দৈনিক ভোরের অঙ্গীকার পত্রিকা সহ বেশ কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে ” কাশীপুরে সরকারী গাছ স্পেকট্রা ডিপোর পেটে ” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর ডিপোর ইনচার্জ ও ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে প্রতিবেদককে মোবাইল ফোনে (সাংবাদিক ইমরান হোসেন কে) হত্যা ও মিথ্যা মামলায় ফাসানোর হুমকি দিয়েছে। যার পরিপেক্ষিতে গত কাল ১১ জুন বরিশাল এয়ারপোর্ট থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করা হয়েছে। জিডি নং ৪০৪। জিডি সূত্রে জানাযায় – গতকাল সকাল সাড়ে ১০ টায় ০১৭২৬-৪৭৮৫৯১ নম্বর থেকে স্পেকট্রা ডিপোর বরিশাল ইনচার্জ সুমন ও রিয়াজ পরিচয়ে ১জন ফোন করে কেন সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তা জানতে চেয়ে অকথ্য বাসায় গালাগালি এবং এক পর্যায় হত্যার হুমকি দেয়। জা নিয়ে বরিশাল সাংবাদিক সমাজের মাঝে তীব্র ক্ষোভ জেগেছে। সাংবাদিক সংগঠন গুলো ইতিমধে স্পেকট্রা কম্পানির বরিশাল ডিপোর কর্মকতাদের বিরুদ্বে মানবন্দন সহ পুলিশ কমিশনার কে অবহিত করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানাযায়। তবে গত ৭ তারিখ দৈনিক ভোরের অঙ্গীকার পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়ে বরিশাল বিভাগীয় বন কর্মকতার। তিনি বিষয়টি নিয়ে সরেজমিনে তদন্ত করতে একটি টিম স্পেকট্রা অফিসে পাঠালে মাথা বিগরে জায় কম্পানির বরিশাল ডিপোতে থাকা কর্মকতাদের। যারই পরিপেক্ষিতে নিজেদের দোষ কে ডাকতে এমন হুমকি দিয়ে সত্যকে ধামাচাপা দিতে এমন অপকৌশল বলে মনে করেন বরিশালের সচেতন মহল ও সাংবাদিক সমাজ। বিষয়টি নিয়ে বরিশাল বিভাগীয় বন কর্মকতা আবুল কালামের সাথে আলাপ কালে তিনি জানান- আমি বিষয়টি নিয়ে তদন্ত টিম পাঠিয়েছি। তদন্তের ফলাফল হিসেবে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। সূত্র জানায়- বরিশাল নগরীর কাশিপুর চৌমাথায় সরকারী ফলজ কাছ কেটে উজার করার কাজে ব্যস্থ একটি চক্র। স্থানিয় সূত্রে জানাযায়- গত প্রায় ১০ বছর পূর্বে কাশিপুর ২নং ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সিকাদার, পরিবেশ বান্ধব এর জন্য চৌমাথা থেকে কাশিপুর মূখার্জীরপুল পযর্ন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে কয়েক হাজার নারিকেল ও কাঠাল গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ গাছ রোপন করেন আর এই গাছগুলোর তত্ত্বাবাধয়নের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে গাছ গুলো দেখবাল করে আসছে। এদিকে একটি চক্র রাতের আধারে বিভিন্ন সময় গাছগুলোকে কেটে উজার করে ফেলছেন। সর্বশেষ চলতিবছরের মে মাসের শেষের দিকে
কাশীপুর গণপাড়া বাইতুন নাজাত জামে মমসজিদ সংলগ্ন স্পেকট্রা ওক্সিজেন কোম্পানির একটি ডিপোর সামনে থেকে রাতের আধারে দুই টি বড় বড় নারিকেল গাছ কেটে ফেলে ওই ডিপো কর্তৃপক্ষ। যদিও ডিপোর ডিপো ইনচার্জ তারেক হোসেনের দাবী গাছ তাদের পক্ষ থেকে কেউ কাটেনি। মুলত ডিপোর আওতাধীন জমির মালিক স্থানীয় প্রভাবশালী আব্দুর রব মুন্না ও ভাগ্নে রিয়াজের যোগসাজশে রাতের আধারে সরকারী গাছ কেটে নেওয়ার হয়েছে বলে দাবী করা হয়েছে।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে ডিপোতে ট্রাক চলাচল করতে সমস্যা হওয়ায় ডির্পোর ইচার্জ তারেকের নির্দেশেই রাস্তার পাশে সরকারী দুইটি নারিকেল গাছ কাটা হয়েছে। পরবত্বিতে জমির মালিকের ভাগ্নে রিয়াজ হোসেন সরকারী গাছ কাটার দায় ডির্পোর ইনর্চাজ তারেকের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে নেন। আর সরকারী গাছ কেটে নেয়ায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন প্রশাসন। তবে রাতের আধারে সরকারী গাছ কেটে নেওয়ার বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে চলছে ডিপো ইনচার্জ তারেক হোসেন ও স্থানীয় প্রভাবশালী আব্দুর রব মুন্নার ভাগ্নে রিয়াজের লুকোচুরি। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বেশ কয়েক বছর পূর্বে কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম মোহাম্মাদ শিকদার গনপাড়া সড়কে নাড়িকেল গাছ সহ বেশ কিছু চারা গাছ রোপন করেন। পরবর্তিতে সময়ের পরিবর্তনে গাছ গুলো বড় হয়ে ওঠে। তবে এই গাছগুলো কাল হয়ে দ্বাড়ায় ডিপো ইনচার্জ তারেক হোসেন ও স্থানীয় প্রভাবশালী আব্দুর রব মুন্নার ভাইগ্নে রিয়াজ হোসেন। ডিপো অফিসের সুবিদার্থে গেটের সামনে থাকা ৫ টি নাড়িকেল কেটে ফেলে ডিপো ইনচার্জ তারেক হোসেন। তবে গতকাল সরেজমিনে স্পেকট্রা ডিপো অফিসে এ বিষয়ে ববক্তব্য নেওয়ার জন্য গেলে ডিপো ইনচার্জ প্রথমে গাছ কাটার ব্যাপারে কিছু জানেন্না বল্লেও পরে অকপটে দ্বায় চাপিয়ে দেয় জমির মালিক আব্দুর রব মুন্নার ভাগ্নের উপর। তারেক জানান আমরা কোন গাছ টাছ কাটিনাই। গাছকাটতে পারে জমির মালিক। এ ব্যাপারে জমির মালিক একটি মারধরের মামলায় জেলে থাকায় তার ভাগ্নে রিয়াজের সাথে বিষয়টি নিয়ে জানার জন্য ফোন করলে তিনি বলেন আমার গাছ আমি কাটবো, সেটা আমার ব্যাপার। সেটা আপনার দেখার বিষয় নয়। অপরদিকে বিষয়টি নিয়ে কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন লিটন মোল্লার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্বব হয়নি। অপরদিকে এ ব্যাপারে বরিশাল বিমান বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা আনোয়ার হোসেনের সাথে আলাপ কালে তিনি জানান- সরকারী গাছ অনুমুতি ছাড়া বেআইনি। সেক্ষেত্রে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ভাবে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আব্দুল করিমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন- গাছ কাটার ব্যাপারে আমাদের কিছু জানানেই। তবে আমি আজকেই মেম্বারের কাছে বিষটি অবহত করবো। প্রিয় পাঠক চোঁখ রাখুন আগামী সংখ্যায়, থাকছে আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন………..
😠1
Chat conversation end
Type a message…