নিজস্ব প্রতিনিধিঃরাজধানীর শেরেবাংলা নগরের সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে এক তরুণীকে জোর করে গাড়িতে তুলে ধর্ষণের চেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তারকৃত মো. মাহমুদুল হক রনির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
সাত দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে সোমবার ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আহসান হাবীব এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শেরেবাংলা নগর থানার এসআই মিনহাজ উদ্দিন এই আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
এদিকে সোমবার মামলায় প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী হিসেবে এক তরুণী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এর আগে গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় ধর্ষিতা তরুণী বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় রনি হক ও তার গাড়িচালক ফারুককে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পরে রনি হক আটক হলেও ফারুক পালিয়ে যায়।
শনিবার গভীর রাতে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে ওই তরুণীকে জোর করে গাড়িতে তুলে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে রনি হক নামের ওই ব্যক্তি ও তার গাড়িচালককে গণপিটুনি দেওয়া হয়। একপর্যায়ে ঘটনাস্থল থেকে চালক পালিয়ে গেলেও রনিকে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। ওই ঘটনায় গত ৯ জুন গভীর রাতে ঘটনার দুটি ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করেন রাফি আহমেদ নামে এক ব্যক্তি।
রাফি আহমেদ তার ফেসবুক পোস্টে জানান, তিনি অফিস থেকে ফেরার সময় মোহাম্মদপুর কলেজগেট সিগন্যালে তার সামনে থাকা গাড়িতে একজন ছেলে ও একজন মেয়েকে ধস্তাধস্তি করতে দেখেন। গাড়ির গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় তিনি গাড়িটিকে অনুসরণ করেন। যানজটের কারণে গাড়িটি পালানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে বলে পোস্টে উল্লেখ করেন রাফি। গাড়ির ভেতরের ধস্তাধস্তি রাফি আহমেদসহ রাস্তায় থাকা আরও অনেকের নজরে আসে। রাফি আহমেদ তার পোস্টে দাবি করেন, গাড়িটি যানজটে আটকা পড়লে তিনিসহ সাধারণ মানুষ গাড়িটির সামনে গিয়ে দেখেন ছেলেটি মেয়েটিকে ধর্ষণ করছে। গাড়িটির নম্বর ‘ঢাকা মেট্রো- গ ২৯- ৫৪১৪’।
ভিডিওতে দেখা যায়, জনতা ওই ব্যক্তি ও তার গাড়ির চালককে বাইরে বের করে পিটুনি দিচ্ছেন। একপর্যায়ে ‘ধর্ষণকারী’ ও গাড়ির চালক উভয়কেই নগ্ন করে রাস্তায় মারধর করে।