আমতলী প্রতিনিধিঃ আমতলী উপজেলার উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামে যৌতুকের দাবীতে বরিশাল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর কম্পিউটার প্রশিক্ষকের বিরদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতন করে আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে আমতলী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নির্যাতনের স্বীকার নাসরিন (৩০) নামে এক গৃহবধুকে উদ্ধার করে রবিবার রাত ১টার সময় আমতলী হাসপাতালে ভর্তি করে। রবিবার সকালে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ১০ বছর পূর্বে তক্তাবুনিযা গ্রামের মোঃ বজলুর রহমান হাওলাদার এর পুত্র মোঃ শাহাবুদ্দিন হাওলাদার (৩৭) এর সাথে একই উপজেলারা কুকুয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের আঃ হক হাওলাদার এর কন্যা মোসাঃ নাসরিন এর বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে যৌতুকের জন্য নাসরিনের স্বামী শাহাবুদ্দিন শ্বশুর বজলুর রহমান শ্বাশুড়ী সাজেদা সাজু বেগম তাকে নির্যাতন করে আসছিলো। ঘটনার দিন ১০জুন রবিবার রাত ৮ টার দিকে নাসরিনের স্বামী শ্বশুর ও শ্বাশুরী তাকে তার বাবার বাড়ি থেকে ৫ লাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে বলে। নাসরিন তার দরিদ্র বাবার পক্ষে এত টাকা যৌতুক দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানালে স্বামী শাহাবুদ্দিন শশুর বজলুর রহমান শাশুড়ী সাজেদা সাজু বেগম নাসরিনকে গাছের ডাল দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এ অমানষিক নির্যাতনের পর নাসরিনকে ঘড়ের একটি কক্ষে আটকে রাখে। পরে বাড়ীর পাশের লোকজন এ ঘটনা নাসেিনর মামা আ: ছালাম আকনকে জানায় ।
আ: ছালাম আকন বিষয়টি আমতলী থানা পুলিশকে জানালে থানা পুলিশ রাত ১০ টার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নাসরিনকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সোমবার দুপুরে আমতলী হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় নাসরিন ব্যাথায় হাসপাতাল সয্যায় কাতরাচ্ছে। তার উপুতে এবং বাম হাতে লাঠির আঘাতে কালো দাগ হয়ে আছে। সোয়া অবস্থায় একপাশ থেকে অন্য পাশে নড়তে পাড়ছে না। কান্না জরিত কন্ঠে নাসরিন জানান, বিয়ের পর থেকেই এভাবে যৌতুকের জন্য স্বামী শাহাবুদ্দিন শ্বশুর বজলুর রহমান, শ্বাশুরী তাকে বেধরক মারধর করত। রবিবারও তাকে যৌতুকের জন্য মারধর করে ঘড়ে আটকে রাখে। আমি এর বিচার চাই।
মামা মোঃ আঃ ছালাম আকন জানান, অভিযুক্তরা যৌতুকের দাবীতে প্রতিনিয়ত আমার ভাগনী নাসরিনের উপর নির্যাতন করে আসছিলো। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই। নাসরিনের বাবা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আ: হক হাওলাদার জানান, যৌতুকের লইগ্যা দেহেন আমার মাইয়াডারে মাইরা করছে কি। আমি এইয়ার বিচার চাই।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শাহাবুদ্দিন কাছে জানতে চাইলে তিনি মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন, আমি রাগের বশবর্তী হয়ে সামান্য মারধোর করেছি ।
এ ব্যাপারে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিন মিলন জানান, এ ব্যাপারে মৌখিক অভিযোগ পেয়ে নির্যাতনের স্বীকার নারীকে তাৎক্ষনিক পুলিশ পাঠিয়ে আত্মীয় স্বজনের সহযোগিতায় উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।