নিউজ ডেস্ক :রোজা মুমিন মুসলমানের জীবনকে পবিত্র করে। পবিত্র কোরআনুল কারিমে রমজান মাসের এ রকম মর্যাদার কথাই ঘোষণা করা হয়েছে-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ
মহান আল্লাহ বলেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে; যেমনিভাবে তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছিল। যাতে তোমরা তাকওয়াবান তথা পরহেজগারী অবলম্বন করতে পার।” (সুরা বাকারা : আয়াত ১৮৩)
আমাদের সমাজে রমজান মাসের রোজা পালনরত অবস্হায় এমন কিছু বিষয় রয়েছে যার ফলে রোজাদারগণ মনে করেন রোজার কোনো ক্ষতি হয়ে থাকে, কিন্তু বাস্তবে কোনো ক্ষতি হয় না।
সেগুলো হল-
(১) মুখের থুতু গিলে ফেললে রোজা ভঙ্গ বা মাকরূহ হয় না।
(২) মাথা, দাড়ি, গোফ বা শরীরের কোথাও তেল ব্যবহার করলে রোজা ভঙ্গ বা মাকরূহ হয় না।
(৩) তেল বা সুরমা ব্যবহারের ফলে যদি গলায় তার স্বাদ অনুভব হয়, তাহলে রোজা ভঙ্গ বা মাকরূহ হয় না।
(৪) রোজা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভঙ্গ বা মাকরূহ হয় না।
(৫) চুল, নখ ইত্যাদি কাটলে রোজা ভঙ্গ বা মাকরূহ হয় না।
(৬) শরীর নাপাক হলে এবং সুবহে সাদিকের আগে গোসল না করে রোজার নিয়ত করলেও, রোজার ক্ষতি হয় না।
(৭) অনিচ্ছায় গলার মধ্যে ধোঁয়া, ধুলাবালি, মশা-মাছি চলে গেলে রোজা ভঙ্গ বা মাকরূহ হয় না।
(৮) দুর্বলতার আশঙ্কা না থাকলে রক্ত দানে রোজা মাকরূহ বা ভঙ্গ হয় না।
(৯) ফুল বা ফলের ঘ্রাণ নিলে রোজা ভঙ্গ বা মাকরূহ হয় না।
(১০) ইচ্ছাকৃতভাবে নাকের শ্লেষ্মা মুখের ভেতর নিয়ে নিলে রোজা ভঙ্গ বা মাকরূহ হয় না।
(১১) সেহরিতে ব্রাশ করার পর বা পান খাওয়ার পর ভালোভাবে কুলি করা সত্ত্বেও থুতুতে লালাভাব থেকে থাকলে রোজার কোন ক্ষতি হবে না।
(১২) ঠাণ্ডার জন্য গোসল করলে, এসি/পাখার বাতাস গ্রহণ করলে বা ভেজা কাপড় দিয়ে ঠাণ্ডা অনুভব করলে রোজা মাকরূহ ও ভঙ্গ হয় না।
(১৩) রোজা অবস্থায় মিসওয়াক করলে রোজা ভঙ্গ বা মাকরূহ হয় না। তবে এক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি যাতে মিসওয়াকের স্বাদ কন্ঠনালীতে না পৌঁছায়।
(১৪) মাথা অথবা চোখে ওষুধ দিলে রোজা ভঙ্গ বা মাকরূহ হয় না।
(১৫) রোজা অবস্থায় নাকের মধ্যে ওষুধ লাগালে, যদি তা কন্ঠনালীতে না পৌঁছায় রোজা ভঙ্গ বা মাকরূহ হয় না।
(১৬) শরীরের কোনো ক্ষতস্থান থেকে পুঁজ বা রক্ত প্রবাহিত হলে রোজা ভঙ্গ বা মাকরূহ হয় না।
(১৭) পানিতে ডুব দেওয়ার পর কানের ভেতর পানি চলে গেলে রোজা ভঙ্গ বা মাকরূহ হয় না।
(১৮) ঘাম বা চোখের পানি পানির কয়েক ফোঁটা কন্ঠনালীতে প্রবেশ করলে রোজা ভঙ্গ বা মাকরূহ হয় না।
ডেইযে সব কারণে রোজা ভঙ্গ ও মাকরূহ কোনটাই হয় না।