চাঁদপুর প্রতিনিধিঃচাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ গল্লাক ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শাহীন সুলতানা ফেন্সিকে তাঁর স্বামী দ্বিতীয় স্ত্রীর প্ররোচনায় হত্যা করেছেন এবং পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী খুনের আলামতও নষ্ট করে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করেছেন।
রোববার দুপুরে চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ফেন্সির সন্তানেরা সংবাদ সম্মেলন করে এমনটাই দাবি করেন। তাঁরা মায়ের হত্যাকারীদের বিচারও দাবি করেন। ফেন্সি ও তাঁর স্বামীর ৩২ বছরের দাম্পত্য জীবনে তাঁদের তিন মেয়ে হয়েছে।
৪ জুন রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে শহরের ষোলঘর পাকা মসজিদ-সংলগ্ন এলাকায় নিজ বাড়ির দ্বিতীয় তলায় খুন হন ফেন্সি। তিনি কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগ সদস্য ছিলেন।
ফেন্সির স্বামী জহিরুল ইসলাম জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত ফেন্সির ছোট মেয়ে ফাতেমা শাহীন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। সেখানে বলেন, ‘৪ জুন সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে সাড়ে আটটার মধ্যে আমার মাকে তাঁর নিজ বাসায় আমার বাবা তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী জুলেখা বেগমের সহযোগিতায় নির্মমভাবে খুন করেন।’
ফাতেমা শাহীন বলেন, তাঁর বাবা জহিরুল ইসলাম আনুমানিক চার বছর আগে সবার অগোচরে জুলেখা বেগমকে বিয়ে করেন। জুলেখার আগেও বিয়ে হয়েছিল। সেই ঘরে তাঁর দুই সন্তান রয়েছে। বাবার এ সম্পর্ক তাঁরা কোনো বোন বা মা কখনোই মেনে নেননি। এ নিয়ে মা-বাবার প্রায়ই ঝগড়া হতো। বাবা নানাভাবে মাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। এমনকি প্রকাশ্যেই মাকে জীবননাশের হুমকি দিতেন। তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীও মোবাইলে মাকে হত্যার হুমকি দিতেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ৪ জুন সন্ধ্যায় জহিরুল পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীর প্ররোচনায় ও সহযোগিতায় খুনের আলামত নষ্ট করে এই খুনকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করেন। এতেই প্রমাণিত হয়, এ হত্যাকাণ্ড তাঁরাই ঘটিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফেন্সির বড় মেয়ে ফারজানা শাহীন, বড় জামাতা আরিফুর খান, বড় ভাই নঈমুদ্দিন খান, নাছির উদ্দিন খান ও ছোট ভাই ফোরকান উদ্দিন খান।