নিজস্ব প্রতিনিধিঃগাড়ির মধ্যে ধর্ষণ করার অভিযোগ এনে গভীর রাতে দুই ব্যক্তিকে গণপিটুনি দেওয়ার একটি ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। রোববার মধ্যরাতের এই ঘটনার পর গণপিটুনির শিকার মাহমুদুল হক রনি (৩৫) নামের ওই ব্যক্তিকে মদ্যপ অবস্থায় পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হলেও ধর্ষণের শিকার হওয়ার কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে শেরেবাংলা নগর থানার ওসি গনেশ গোপাল বিশ্বাস জানিয়েছেন।
থানায় মাহমুদুল হক রনি বলেন, গাজীপুরের কাপাসিয়ায় যাওয়ার জন্য ধানমণ্ডির ঝিগাতলার বাসা থেকে গভীর রাতে নিজ গাড়ি নিয়ে বের হন। গাড়ির মধ্যে তিনি মাত্রাতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করায় একটু বেসামাল ছিলেন।
তার দাবি, এই বেসামাল অবস্থার সুযোগ নিয়ে তার গাড়িচালক সংসদ ভবনসংলগ্ন খেজুর বাগান এলাকা থেকে ‘দুই যৌনকর্মীকে’ গাড়িতে তুলেন।
স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে ওসি গনেশ বলেন, রাত আড়াইটার দিকে ওই দুই মেয়ের মধ্যে একজনকে কলেজগেইট এলাকায় নামিয়ে দিলে ওই মেয়ে চিৎকার শুরু করে। তার চিৎকারে পথচারীসহ সবাই এগিয়ে এসে গাড়িটি আটকায় এবং চালক ও রনিকে বেধড়ক মারধর করে।
পুরো ঘটনাটি এক পথচারী ভিডিও করে তার ফেইসবুকে দিলে তা ভাইরাল হয়। তাতে মারধরের চোটে কাপড় ছিঁড়ে গেলে চালককে নগ্ন অবস্থায় দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখা যায়। মারধরের পরে রনি ও তার গাড়িটিকে স্থানীয় পথচারীরা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে বলে ওসি গনেশ জানান।
রনিকে হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “তার মদ পানের নমুনা পাওয়া গেছে। আর যে দুই মেয়ে তার গাড়িতে উঠেছিল তাদের এবং রনির গাড়িচালককে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
“ধর্ষণের যে অভিযোগ শোনা যাচ্ছে, তা ওই নারীদের পাওয়া না গেলে স্পষ্ট হবে না।” তবে রনির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সূত্র : বিডিনিউজ