নৌযানের নকশা অনুমোদনে মানদণ্ড নির্ধারণ না করেই নৌপরিবহন অধিদফতরের কারিগরি কমিটি আজ রোববার বৈঠকে বসছে। এ বৈঠকে ১৪০-১৫০টি নৌযানের নকশা অনুমোদন করা হতে পারে।
এর মধ্যে কমবেশি ১০০টি মালবাহী জাহাজ। নৌযানের নকশা অনুমোদন নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, নকশা বাছাই কমিটির সুপারিশের বাইরেও বেশ কিছু নৌযানের নকশা অনুমোদনের জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে নকশা অনুমোদন সংক্রান্ত কারিগরি কমিটির প্রধান ও নৌপরিবহন অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো. মনজুরুল কবীর বলেন, কারিগরি কমিটির সদস্যরা বৈঠকে বসবেন।
নকশা অনুমোদনের ক্ষেত্রে আমরা কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখছি। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে, যারা আগে জমা দিয়েছেন তাদের অগ্রাধিকার দেয়া, পুরনো ব্যবসায়ী, আর্থিক সক্ষমতা ইত্যাদি।
তিনি বলেন, অনেক নকশা জমা পড়েছে, সবাইকে অনুমোদন দেয়া যাবে না। তবে তাদের নকশা পরবর্তীতে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। জানা গেছে, নৌযানের নকশা অনুমোদনে ঘুষ লেনদেন করার সময় সংস্থাটির দু’জন প্রধান প্রকৌশলী দুর্নীতি দমন কমিশনের হাতে গ্রেফতার হন।
ওই ঘটনায় সংস্থাটির কার্যক্রম নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক ও সমালোচনা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে নকশা অনুমোদনে নির্দিষ্ট মানদণ্ড বা গাইডলাইন তৈরির দাবি জানান নৌ-সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
কিন্তু নৌপরিবহন অধিদফতর কোনো গাইডলাইন তৈরি করেনি। তবে নকশা বাছাই কমিটি ও কারিগরি কমিটি নামে দুটি পৃথক কমিটি গঠন করে দেয়। বাছাই কমিটি ২৯৪টি নৌযানের নকশার কাগজপত্র পর্যালোচনা করে এর ওপর নম্বর (মার্কিং) দিয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, বাছাই কমিটির তালিকার বাইরে অন্তত ১৯টি জাহাজের নকশা কারিগরি কমিটিতে তোলা হচ্ছে। এবারও নকশা অনুমোদনে পছন্দের ব্যক্তিদের গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, সর্বশেষ গত ফেব্রুয়ারিতে নৌযানের নকশা অনুমোদন করা হয়। তখনও এ নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
পরে ১৩ এপ্রিল নকশা অনুমোদনের ৫ লাখ টাকা ঘুষসহ দুদকের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়েন তৎকালীন প্রধান প্রকৌশলী এসএম নাজমুল হক।