নিউজ ডেস্ক:ঈদের এই উৎসবমুখর পরিবেশে নিজেকে উৎসবের সাজে সাজিয়ে তুলতে কম বেশি সবার মাঝেই একটা বাড়তি প্রস্তুতি চলছে।
ঈদের দিনে যাদের এখানে ওখানে বেড়াতে যাবার অভ্যেস রয়েছে তাদের জন্য ঈদের সাজ নতুন ঈদ পোশাকের মতোই গুরুত্বপূর্ণ।
ঈদে যারা শাড়ি পরবেন তাদের ঈদের দিনের সাজ হতে হবে শাড়ির আঁচলের সঙ্গে মানানসই। এক্ষেত্রে শাড়ির বেসিক কালারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যেমন আনুষঙ্গিক সাজ হতে পারে তেমনি সাজটা হতে পারে খানিকটা কন্ট্রাস্ট।
যেমন নীল কিংবা লালের কাছাকাছি রঙের শাড়ির ক্ষেত্রে সাজের বেজটা যদি পিংক বা মেটালিক ধরনের হয় তাহলে তা দেখতে ভাল লাগবে। আবার শাড়িটা যদি মোটা পাড়ের হয় তাহলে এর সঙ্গে কপালে বড় একটা টিপে সাজ বেশ মানাবে।
শাড়ির সঙ্গে যে কোনা ধরনের সাজের ক্ষেত্রেই চোখটিকে ফুটিয়ে তোলা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তবে লক্ষ রাখবেন যেন শাড়ির রঙের সঙ্গে চোখের শ্যাডো, মানানসই হয়। চোখে আই লাইনার এবং মাশকারার ব্যবহারও হতে হবে পরিমিত। অন্যদিকে ঈদের দিনে একটু ক্যাজুয়াল লুকের শাড়ির সঙ্গে হাল্কা করে কাজল দিলে দেখতে মন্দ লাগবে না।
ঈদের দিনটিতেই শাড়ি পরলে অবশ্যই এ সময়ে হাল্কা করে মুখটিকে সাজানোর চেষ্টা করবেন। এজন্য হাল্কা ব্লাশন আর হাল্কা বেজ দিয়ে চোখটিকে সুন্দর করে সাজানো আর ঠোঁটে ন্যাচারাল কালারের লিপস্টিক লাগালেই দেখতে বেশ লাগবে।
শাড়ির সঙ্গে সম্পূর্ণ একটি সাজে জুতোর ভূমিকাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। সাধারণত শাড়ির সঙ্গে একটু হিল জাতীয় জুতাই বেশি মানানসই। তবে চাইলে ফাঙ্কি শাড়ির সঙ্গে কিছুটা ফ্ল্যাট জুতোও পরা যেতে পারে।
এছাড়া শাড়ির মধ্যে যদি বাঙালীয়ানা কিংবা আভিজাত্যের বিষয়টি প্রাধান্য পায় তাহলে চুলে খোঁপা বেঁধে এবং খোঁপায় স্টাইলি চুলের কাঁটা ব্যবহার করেও সাজে ভিন্নতা আনতে পারেন।