মুলাদী প্রতিনিধিঃ মুলাদীতে যুবলীগ নেতা প্রিন্স হত্যা মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আসামী ও তাদের লোকজন মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বাদী নিহতের পিতা নেছার সিকদারকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। প্রিন্স হত্যার সাথে জড়িত আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় এবং মামলা তুলে নেওয়ার হুমকিতে বাদী ন্যায় বিচার নিয়ে শংকিত হয়ে পড়েছেন। জানাগেছে গত ৯ মার্চ গভীর রাতে উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের চরআলিমাবাদ গ্রামে নিজের ফসলি জমির মধ্যে অবৈধ রাস্তা নির্মাণে বাধা দিতে গেলে রাস্তা নির্মাণকারীরা মাইকে ঘোষণা দিয়ে হামলা চালায়। ওই সময় নাজিরপুর ইউনিয়নের সাহেবেরচর গ্রামের নেছার সিকদারের পুত্র আবুল বাশার প্রিন্স সিকদার নিখোঁজ হন। ঘটনার ২ দিন পরে ১১ মার্চ আড়িয়ালখা নদীর সাহেবেরচর নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে প্রিন্স সিকদারের লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় নিহতের পিতা নেছার সিকদার বাদী হয়ে বাটামারা ইউনিয়ন মেম্বার আবুল কালাম হাওলাদার, স্থানীয় প্রভাবশালী ও রাস্তা নির্মাণের মূল উদ্যোক্তা চুন্নু হাওলাদারসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার সূত্রে পুলিশ ৩জনকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করতে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জাবানবন্দী দেয়। গ্রেফতারকৃতদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বাটামারা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম সিকদারের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়। মামলাটি বর্তমানে সিআইডিতে তদন্তাধীন রয়েছে। বাটামারা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ ওঠার পর থেকে তিনি এলাকা ছেড়ে আতœগোপন করেন। পরে মামলার অন্যান্য আসামী ও চেয়ারম্যান লোকজন নিহত প্রিন্সের পিতাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিতে থাকে। এছাড়া সম্প্রতি চরআলিমাবাদ এলাকায় আসামীদের বাড়ি-ঘরসহ ৩টি বাড়ির ৯টি ঘরে হামলা ও অগ্নি সংযোগের ঘটনায় নিহত প্রিন্সের পিতা ও তার আতœীয়-স্বজনকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ প্রিন্স হত্যা মামলা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতেই আসামীরা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে।