মাগুরা প্রতিনিধি:মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর বাজারের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী পরিবারের ৬ সদস্যকে খাবারের সাথে চেতনানাশক মিশিয়ে অচেতন করেছে দুস্কৃতিকারীরা।
মনোরঞ্জন সাহা (৬০) নামের ওই ব্যবসায়ী এলাকায় স্বর্ণ বন্ধক রেখে সুদ কারবার করতেন বলে জানা গেছে। ব্যবসায়িক দন্দ্ব থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা সবার।
মনোরঞ্জন সাহার ছেলে মিঠু সাহা জানান, শুক্রবার (৮ জুন) বেলা ৩টার দিকে বিনোদপুর চৌরাস্তা এলাকায় মনোরঞ্জন সাহা তার পরিবারের সদস্য ও কর্মচারীসহ অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে নিজ বাড়িতে খাবার খান। এর কিছুক্ষণ পরই তারা সবাই অসুস্থ্ হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন।
পরে পুলিশ এসে তাদেরকে উদ্ধার করে সন্ধ্যায় মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। অসুস্থ্ অন্যান্য সদস্যরা হল, মনোরঞ্জন সাহার ভাই সুশান্ত সাহা (৬৫), স্ত্রী নীলা রানী সাহা (৬০), কর্মচারী কানাই (৫০), গন মিস্ত্রী (৬০) ও নিশিথ সাহা (৫৫)। তবে দুস্কৃতিকারীরা বাড়ি থেকে কোন সম্পদ নিয়েছে কিনা তা তিনি জানাতে পারেননি। এ সময় সাংবাদিকরা মনোরঞ্জন সাহার ছবি তুলতে গেলে তার স্বজনরা ছবি তুলতে বাধা দেয়।
ওই এলাকার বাসিন্দা পল্লী চিকিৎসক রবীন কুমার, ব্যবসায়ী নয়ন শীলসহ অনেকে জানান, মনোরঞ্জন শীল এলাকায় স্বর্ণ বন্ধক রেখে সুদে কারবার করেন। তার সঙ্গে অনেকেরই শত্রুতা থাকতে পারে। সেই শত্রুতা থেকেই এ ঘটনা ঘটতে পারে।
মাগুরা ২৫০ শয্যার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সুশান্ত কুমার সাহা ব্রেকিংনিউজকে জানান, খাবারে মাংসের সাথে চেতনানাশক মিশিয়ে তাদের অজ্ঞান করা হয়েছে। রোগীরা এখন মোটামুটি ভাল আছে। তবে এ ধরনের রোগীর অবস্থা যেকোন সময় খারাপ হয়ে যেতে পারে।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠিয়ে আমরা ওই পরিবারের সদস্যদের উদ্ধার করি। ভিকটিমরা সুস্থ্ হয়ে উঠলে তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’