আন্তর্জাতিক ডেস্ক:খাবারের গল্প শোনাতে তিনি তার দর্শকদের নিয়ে গিয়েছিলেন বিশ্বের আনাচকানাচে। সেই গল্প মাঝপথে থামিয়ে ৬১-তে চলে গেলেন আমেরিকার সেলেব্রিটি শেফ তথা জনপ্রিয় টিভি শো ‘পার্টস আননোন’-এর সঞ্চালক অ্যান্টনি বুরডেন।
প্যারিসের এক হোটেলের কক্ষ থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি ছিলেন ফিলিস্তিনিদের একজন শুভাকাঙ্ক্ষী। স্থানীয় খাবারের প্রদর্শন এবং দখলদারিত্বের অধীনে জীবন কেমন, তা তুলে ধরতে বুরডেন ২০১৩ সালে তিনি অধিকৃত পশ্চিম তীর ও গাজা সফর করেছিলন।
সিএনএন-এর অনুষ্ঠান করতে সম্প্রতি ফ্রান্সে গিয়েছিলেন অ্যান্টনি। শুক্রবার চ্যানেলটি জানায়, আত্মহত্যা করেছেন তিনি। কারণ, অজানা।
অ্যান্টনির এভাবে ‘রান্নাঘর’ ছেড়ে যাওয়াটা অনেকেই মানতে পারছেন না। নানাবিধ চ্যানেল-কর্তা থেকে শুরু করে আমজনতা— সোশ্যাল মিডিয়ায় আজ শনিবার দিনভর শোক জানিয়েছেন।
অ্যান্টনির সহকর্মী শেফ জন হজম্যান লিখলেন, ‘২০০৪-এ একবার চীনা খাবার নিয়ে লেখার সময়ে অ্যান্টনির সঙ্গে এক টেবিলে বসেছিলাম। অ্যান্টনিই শিখিয়েছিল, এক জনের কাছে যেটা অখাদ্য, বিশ্বের কোনও এক প্রান্তে কিন্তু সেটাই অমৃত।’
১৯৯৯-এ প্রথম নজর কাড়েন অ্যান্টনি। আমেরিকার প্রথম সারির এক সাময়িকীতে তার লেখা ছাপা হয়— ‘ডোন্ট ইট বিফোর রিডিং দিস’। সিএনএন-এর সঞ্চালক হিসেবে যোগ দেন ২০১৩-য়। তার আগে অবশ্য একাধিক চ্যানেলে ভ্রমণ ও খাবার-দাবার নিয়ে প্রচুর অনুষ্ঠান করেছিলেন তিনি। গত মাসেই ‘পার্টস আননোন’-এর ১১তম সিজ়ন দেখানো হয়েছে।
হলিউডে যৌন হেনস্থার প্রতিবাদে ‘#মিটু’ আন্দোলনের প্রতিও সমর্থন ছিল অ্যান্টনির। অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে সমালোচনায় মুখর হতে দেখা গিয়েছে তাকে। অ্যান্টনির মৃত্যুতে আজ শোক প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্টও।
২০১৩-র এক অনুষ্ঠানে অ্যান্টনি বলেন, ‘পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে গিয়ে সাধারণ ক’টা প্রশ্ন করি। ‘কী আপনাকে সব চেয়ে বেশি আনন্দ দেয়? কী খান? কী রান্না করতে ভালবাসেন?’ ভাবতেও পারবেন না, এ থেকে কী মজার সব উত্তর আসে।’ সূত্র: আল জাজিরা, আনন্দ বাজার