শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩, ১২:৫৬ পূর্বাহ্ন

আগুন ঝরা রোদে তেঁতে উঠেছে রাজশাহী

ক্রাইম ফোকাস ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শনিবার, ৯ জুন, ২০১৮
  • ১২৬ বার পড়া হয়েছে

এস.এইচ.এম তরিকুল ইসলাম; রাজশাহী: আগুন ঝরা রোদে তেঁতে উঠেছে রাজশাহী। সূর্যের দহনে মহানগরবাসীর প্রাণ এখন যায় যায় অবস্থা। একটু শীতল পরশের জন্য ব্যকুল হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষ। যত দিন গড়াচ্ছে তাপমাত্রা ততই বাড়ছে। দিনভর সূর্যের তীর্যক রশ্মী আর গরম হাওয়া, ইফতারের পর থেকে শুরু হয় গরমের নাভিশ্বাস। সে সময় বেশীর ভাগ দিনই বিদ্যুৎহীন থাকায় স্বস্তির জায়গা খুজে পাওয়া দুস্কর। মাঝে মধ্যে গভীর রাতে দু’চার ফোটা বৃষ্টির দেখা মিললেও দিনের বেলা ঝরছে আগুন ঝরা রোদ। ভ্যাপসা গরমে নাস্তানাবুদ রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলের মানুষ। প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে তাপমাত্রা। তবে চলতি সপ্তাহেই নি¤œচাপের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
গত বৃহস্পতিবার চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওইদিন সর্বনি¤œ ছিল ২৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শুক্রবার ভোরে নগরীতে হালকা বৃষ্টিপাতের কারণে কিছুটা তাপমাত্রা কমেছে। এদিন সর্বোচ্চ ছিল ৩৩ ও সর্বনি¤œ ছিল ২৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সকালে বাতাসের আদ্রতা ৯৮ শতাংশ। প্রচন্ড তাপদাহের কারণে বেড়েছে বিদ্যুতেরও লোডশেডিং। সেহেরী ইফতার ও তারাবির সময় বিদ্যুৎহীন থাকায় রোজাদারদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। নামাজ আদায় করতে তৈরি হচ্ছে প্রকৃতির রুদ্রমূর্তিতে স্থবিরতা নেমে এসেছে কর্মজীবনে। জ্যৈষ্ঠের তাপদাহে খাঁ খাঁ করছে রাজশাহী নগরী। মানুষের পাশাপাশি কাহিল পশু-পাখিরাও। মাঠ-ঘাট, বাসা কিংবা অফিস-আদালত কোথাও নেই স্বস্তি। অব্যাহত লোডশেডিং ও তাপমাত্রার কারণে রাজশাহীসহ উত্তারাঞ্চলের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অব্যাহত এ তাপদাহের কারণে শরবত, ডাব, তরমুজ, বেলসহ রসালো ফলের চাহিদা বেড়েছে। তবে সবচেয়ে বেশী ও কিছুটা সহনীয় মাত্রায় দাম থাকায় বেশি বিক্রি হচ্ছে আখের রস।
সূত্র মতে, ১৯৪৯ সাল থেকে বাংলাদেশে তাপমাত্রা রেকর্ড শুরু হয়। এরমধ্যে ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। যা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। গত কয়েকদিন থেকে অব্যাহত তাপপ্রবাহে এতবছর পর আবারও সে রেকর্ড ভাঙার আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন সবাই।
গতকাল শুক্রবার বিকালে রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক নজরুল ইসলাম জানান, মৌসুমী বায়ু ঢুকেছে বাংলাদেশে। যে কারণে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে নি¤œ চাপের সম্ভাবনা রয়েছে। তখন তাপমাত্রা কমবে। তবে টানা কয়েকদিন ভারী বৃষ্টিপাত না হলে এই তাপদাহ কমার সম্ভাবনা নেই বলেও জানান তিনি।
এদিকে, সূর্যের তাপে শরীরের চামড়া পুড়ে যাচ্ছে। অব্যাহত তাপপ্রবাহে রাজশাহীর খেটে খাওয়া মানুষের কষ্টের সীমা চরমে পৌঁছেছে। আর অসহনীয় গরমে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে। প্রকোপ বেড়েছে বিভিন্ন রোগের। শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন উপসর্গে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর