শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩, ০১:৪৩ পূর্বাহ্ন

চাওয়া কেবল একটি সেতু

ক্রাইম ফোকাস ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৮ জুন, ২০১৮
  • ১১৬ বার পড়া হয়েছে

জামালপুর প্রতিনিধিঃ জামালপুরের বকশীগঞ্জে মাত্র একটি সেতুর অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে দুই গ্রামের প্রায় ৫ হাজার মানুষ।

সেতু না থাকায় ৫ মিনিটের রাস্তা যেতে হয় প্রায় ৩ কিলোমিটার ঘুরে। এতে ভোগান্তিতে স্কুল-কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ।

গত বছর বন্যায় বকশীগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের মেরুরচর গ্রাম থেকে বাগাডোবা সড়কটির মাঝখানে প্রায় ৩০ ফুট রাস্তা ভেঙ্গে যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ সড়কের মাঝে সেতু না থাকায় দুই পাশের বন্যার পানির স্রোতে সড়কটি বার বার ভেঙ্গে যায়। এতে করে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়াসহ ফসলী জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়। গত বছরের ভয়াবহ বন্যায় সড়কের মাঝখানে ভেঙ্গে একটি বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বাগাডোবাসহ আশপাশের গ্রামের মানুষজনকে প্রায় ২/৩ কিলোমিটার ঘুরে মেরুরচরসহ উপজেলা সদরে আসতে হয়। এতে দুর্ভোগে পড়েছে দুই গ্রামের প্রায় ৫ হাজার মানুষ। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একটি সেতু নির্মাণে জোর দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, মেরুরচর-বাগাডুবা সড়কে একটি সেতু নির্মাণের জন্য তারা একাধিকবার স্থানীয় এমপি, রাজনৈতিক নেতা, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের কাছে আবেদন জানিয়েছে। কিন্তু এখনো কোনো কাজ হয়নি।

এ ব্যাপারে বাগাডোবা গ্রামের কলেজ শিক্ষার্থী লাজু, লিয়াকত, তারেক জানান, ছোট্ট একটি সেতুর জন্য প্রায় ২/৩ কিলোমিটার বাড়তি সড়ক ঘুরে আমাদের কলেজে যেতে হয়। সেতু না থাকায় কোনো যানবাহন পাওয়া যায় না। তাই অনেক সময় আমাদের গ্রামের কোনো রোগীকে জরুরি অবস্থায় হাসপাতালে নিতে হলেও অনেক প্রকার সমস্যা হয়।

একই গ্রামের দোলা মিয়া, খলিলুর রহমান ও নূর ইসলাম জানান, ইউনিয়ন পরিষদ ও বকশীগঞ্জ উপজেলা সদর, বাজারঘাটসহ নানাবিধ কাজে আমাদের অতিরিক্ত পথ ঘুরে যেতে হচ্ছে। রাস্তাটির মাঝখানে ৩০ ফুট ভেঙে যাওয়ায় এ সড়কে যানবাহন চলাচল করে না। গ্রামের কোনো মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নিতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। প্রতি বছর এ সড়কটি বন্যায় ভেঙে যায়। এ সড়ক নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সমস্যার স্থায়ী সমাধানে এখানে ব্রিজ নির্মাণ প্রয়োজন। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম জেহাদ বলেন, শুনেছি ওই রাস্তার জন্য টিআর কাবিখা বরাদ্দ নিয়ে নেতারা কাজ না করেই ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েরাই খেয়েছে। তাই কাজ হয়নি। তবে ওই রাস্তার বিষয়টি মাথায় আছে। উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী রমজান আলী বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে। আগামী বরাদ্দেই ওই সড়কের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ব্যাপারে জামালপুরের ডিসি আহমেদ কবির বলেন, সড়কটি মেরামতে বরাদ্দ থাকলে কাজ অবশ্যই করতে হবে। কাজ না করার সুযোগ নেই। অনিয়ম হয়ে থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর