প্রথম দুদিন বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা নিলেও পরের দিন সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে যেন দুধে ধোঁয়াতুলসিপাতা হয়ে যায় সুমন, জাকির এবং রাশিদা। এলাকার সাধারণ ভোটারদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ভোটারদের ওপর এমন জুলম কিভাবে তারা করছে এমনটি প্রশ্ন এখন জনমনে। অবৈধভাবে টাকা নেয়ার কারণে ভোটারদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে- কোন ভোটারের কার্ড হারিয়ে গেলে প্রথমে সংশ্লিষ্ট থানায় সাধারণ ডায়েরি এবং সোনালী ব্যাংকে ৩৪৫টাকা জমা দিয়ে পুরনো কার্ডটি তুলে তা জমা দিয়ে স্মার্টকাড নিতে হবে।
কিন্তু সেখানে দেখা গেছে- ভিন্ন চিত্র। ভোটারদের সহযোগিতার নামে নিজেদের পকেট ভারী করতেই ব্যস্ত সুচতুর তিন ইউপি সদস্য। এহেন কর্মকান্ড দেখে নিশ্চুপ ভুমিকায় ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল চেয়ারম্যান। তিনি যেন দেখেও না দেখান ভান ধরে আছেন। যদিও ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকেও এর কোন প্রতিবাদ করেননি।
সূত্র বলছে- জাকির মেম্বর অসহায় ভোটারদের বিপদে খোঁজ খবর না নিলেও তাদের নামে কোন বরাদ্দ এলেই যেন গিলে খেতে মরিয়া হয়ে উঠে তিনি। শুধু জাকির মেম্বারই নয় সুমনের বিরুদ্ধেও রয়েছে একই অভিযোগ। বয়ষ্কভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ অসহায় ও দুঃস্থ ভোটারদের টাকা বাগিয়ে খাওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। ভোটারদের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা নেয়ার বিষয়ে ইউপি সদস্য সুমনের কাছে জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে এই প্রতিবেদককে বলেন- এটা আমার আর ভোটারদের একান্ত বিষয়, আমি এই এলাকার জনপ্রতিনিধি তাদের কল্যাণেতো আমি কাজ করবোই, এ নিয়ে এতো বাড়াবাড়ির কি আছে!”
এবিষয়ে বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার সেকেন্ড অফিসার অরবিন্দু বিশ্বাস জানান, “ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে গেলে নিয়মানুযায়ী থানায় জিডি করতে হয়। কিন্তু মাধবপাশা ইউনিয়নে স্মার্টকার্ড বিতরণের এ কয়দিন এয়ারপোর্ট থানায় কোন জিডি করা হয়নি। এদিকে বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি।’