কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:পূর্ব বিরোধ এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে কাজল হোসেন (৪২) নামের ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার প্রতিপক্ষরা।
বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাজলের মৃত্যু হয়।
এর আগে, সন্ধ্যা ৭টার দিকে সর্দারপাড়া মোড়ে তার নিজ বাড়ির পাশে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পিঠে ও ঘাড়ে কুপিয়ে জখম করে স্থানীয় প্রতিপক্ষরা। পরে কাজলের চিৎকারে তার স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
নিহত কাজল হোসেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার দৌলতপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের ১০ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এবং ওই ইউনিয়নের দৌলতখালী গ্রামের মো. সুন্নতের ছেলে।
হাসপাতালে কান্নারত নিহতের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী আরিফা খাতুন বলেন, ঘটনার পর থেকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছিলেন কাজল। ভোর ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের প্রতিবেশী মহব্বত হোসেন জানান, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ও প্রভাব বিস্তার নিয়ে সর্দারপাড়ার লোকজনের সঙ্গে কাজলের বিরোধ ছিলো। এর প্রেক্ষিতে তারা এ হামলা করেছে বলে ধারণা তার।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে দৌলতপুরে থানার ওসি মজিবর রহমান জানান, বেশ কিছুদিন থেকে এলাকার প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিলো। এরই জেরে গত কয়েকদিন আগে বিয়ে বাড়িতে গান শোনা নিয়ে কাজল মেম্বারের ভাতিজার সঙ্গে তাদের ওই প্রতিবেশী মাবুদের লোকজনের হাতাহাতি হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য মাবুদের বাড়িতে যান কাজল। এ সময় মাবুদের সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাজলের ঘাড়ে এবং পিঠে কুপিয়ে পালিয়ে যান মাবুদ।
ওসি আরো বলেন, কাজলের মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।