বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ০২:৫৩ অপরাহ্ন

ফেসবুকে স্কুলছাত্রীর নগ্ন ভিডিও ভাইরাল, অতঃপর…

ক্রাইম ফোকাস ডেস্ক :
  • আপডেট সময় রবিবার, ১২ মার্চ, ২০২৩
  • ২৮ বার পড়া হয়েছে

 বরগুনা প্রতিনিধি:

স্কুলছাত্রীকে প্রায় উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন আসাদুল হাওলাদার। এক সময় আসাদুল ওই মেয়েকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার সঙ্গে প্রেম করতে বাধ্য করেন। ওই প্রেমের সম্পর্কের জেরে ভিডিও কলে কথা বলেন আসাদুল। ভিডিও কলে কথা বলার সময় ওই ছাত্রীর নগ্ন ছবি রেকর্ড করে রাখেন তিনি। এরপর ওই ছাত্রীর মাকে সেই ভিডিও দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। ওই টাকা না পেয়ে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন আসাদুল। যা মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায়। এতে লজ্জায় অপমানে আত্মহত্যা করেন ওই ছাত্রীর মা।

ঘটনাটি ঘটেছে বরগুনার তালতলীতে। শনিবার রাতে এ অভিযোগ করেন ওই ছাত্রী ও তার বাবা। অভিযুক্ত আসাদুল হাওলাদার উপজেলার তালতলীর সোনাকাটা ইউনিয়নের লাউপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

জানা যায়, ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন আসাদুল হাওলাদার। এক সময় আসাদুল ওই মেয়েকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার সঙ্গে প্রেম করতে বাধ্য করেন। একপর্যায়ে আসাদুল গোপনে ওই মেয়ের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেন। ভিডিও কলে কথা বলার সময় আসাদুল মেয়ের নগ্ন ছবি রেকর্ড করে রাখেন। এরপর গত ৮ মার্চ মেয়ের মাকে ভিডিও দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন আসাদুল। ওই টাকা একদিনের মধ্যে না দিলে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেন। একদিন অতিবাহিত হয়ে গেলে টাকা না পেয়ে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন আসাদুল, যা মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায়। এতে অপমানে গত ৯ মার্চ সকালে ব্যাটারির অ্যাসিড পানি পান করেন ওই ছাত্রীর মা পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী জানান, আসাদুল তাকে প্রতিনিয়ত উত্ত্যক্ত করতেন। একসময় তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রেম করতে বাধ্য করেন আসাদুল। শুধু তাই নয়, ব্ল্যাকমেইল করে নগ্ন হয়ে ভিডিও কলে কথা বলতে বাধ্য করেন। পরে সেই ভিডিও রেকর্ড করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে তার মায়ের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় ভিডিওটি ভাইরাল করে দেন। এ লজ্জায় তার মা আত্মহত্যা করেন।

তিনি আরো বলেন, আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। বিচার না পেলে আমিও আত্মহত্যা করব।

আসাদুলের মা বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে আমার ছেলে যদি এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকে তাহলে আমিও তার বিচার চাই।

তালতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায় বরিশাল কোতোয়ালি থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর