বাবুগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বাবা দিবস উপলক্ষে ‘ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড গর্বিত বাবা’ পুরস্কার -২২ পেয়েছেন বরিশাল বাবুগঞ্জ এর কৃতি সন্তান আলোকিত মানুষ ডা: মোঃ আলমগীর হোসেন । তিনি গর্বিত দুই পুত্র সন্তানের বাবা হিসেবে তাকে এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
বড় ছেলে আবু মোহাম্মদ সায়েম( FCCA, CPFA)
পরিচালক Taxhouse BD ltd. And Edbase Professionals
তিনি সুদূর ইংল্যান্ড থেকে পেশাগত ডিগ্রী লাভের পর সেখানে স্থায়ী ভাবে বসবাসের সুযোগ থাকার পরেও দেশ মাতৃকার সেবা করার জন্য বাংলাদেশে ফিরে আসেন। গড়ে তুলেন বর্তমান প্রতিষ্ঠান এবং সেবা দিয়ে যাচ্ছেন দেশীয় পরিমণ্ডলে। এর পাশাপাশি তিনি একাউন্টস ও ফাইন্যান্স পেশায় যারা ক্যারিয়ার গড়তে চায় তাদের skill development এর জন্য নানামুখী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
ছোট ছেলে ডা: মেহেদী হাসান, এম বি বি এস ডিগ্রী লাভের পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে রুটস কেয়ার হেলথ সার্ভিস নামক প্রতিষ্ঠানে জেনারেল প্রাক্টিশনার হিসেবে। কর্মরত আছেন। NRB হিসেবে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশীয় অর্থনীতিতে অবদান রেখে চলছেন। তাঁর ইচ্ছে আছে দেশে ফিরে আর্ত মানবতার সেবায় জন্য ব্যক্তি উদ্যোগে একটি হাসপাতাল গড়ে তুলবেন।
গতকাল ২০ জুন রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সমস্ত বাংলাদেশ থেকে ২৫ জন বাবার হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন প্রধান অতিথি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল।
গর্বিত বাবা ফাউন্ডেশনের সভাপতি, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের স্বত্বাধিকারী দিলীপ কুমার আগারওয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ, নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমাদ ও পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ শরাফত।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন গর্বিত বাবা ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান। এ সময় গর্বিত বাবাদের উত্তরীয় পরিয়ে দেন বিশেষ অতিথিরা।
এবার বাবা দিবসে পুরস্কার পেয়েছেন শরাফত হোসেন চৌধুরী, অমিয় কুমার আগারওয়াল, ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বশির আহমেদ, আলী আকবর, আজিজ চৌধুরী ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্সের স্বত্বাধিকারী মো. আবদুল আজিজ চৌধুরী, সংগীতশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ, ননী গোপাল সাহা, আতাউর রহমান, হরিপদ দাস, গোলাম মোর্তজা, গাজী আব্দুল লতিফ, মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথী, উত্তম কুমার পাল, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনোয়ার হোসেন, মো. আজিজুল হক, সিরাজউদ্দিন আহমেদ, মো. দৌলতউল্লাহ, চিকিত্সক আলমগীর হোসাইন, মো. নজরউদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী আবুল হাসেম, সানাউর রহমান খান, অ্যাডভোকেট নাসিরউদ্দিন আহমেদ, শিক্ষাবিদ মো. রজব আলী।
উল্লেখ্য যে ডা:মোঃ আলমগীর হোসেন ১৯৫৬ সালের ৭ ই মার্চ বাবুগঞ্জ উপজেলা লোহালিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা ডা: মোঃ সিরাজুল হক ও মাতা মালেকা বেগম, পিতা এলাকার একজন খ্যাতিমান চিকিৎসক ও সমাজসেবক ছিলেন।
আলমগীর হোসেন ছোটবেলা থেকেই একজন মেধাবী ছাত্র ছিলেন। ১৯৬৫ সালে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পান এবং মেধা তালিকা বরিশাল বিভাগে তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। জুনিয়র পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পান। ১৯৭২সালে এসএসসি ও ১৯৭৪সালে এইচএসসি পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন।
ছাত্র জীবনে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিশেষ পারদর্শী ছিলেন, ১৯৮০ সালের শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ও ১৯৮৭ সালে নিপসম থেকে মা ও শিশু স্বাস্থ্যের উপর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে ইরান সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ করার পরে দেশে ফিরে বরিশাল শহরে স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত হয়েছেন। তিনি বরিশাল বাবুগঞ্জ কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি সহ জনকল্যাণমূলক কাজে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন। প্রতিমাসে নিজ এলাকায় বিনামূল্যে গরীব রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে। তাই তিনি এলাকার মানুষের কাছে বিপদের বন্ধু হিসেবে পরিচিত হয়।
ডা: আলমগীর হোসেনের প্রয়াত ছোট বোন লুৎফুন্নেছা বাবুগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ছিলেন এবং প্রয়াত বিলকিস বাবুগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিএসসি শিক্ষক ছিলেন। একটি আদর্শিক ভালো পরিবার।