রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০২৩, ০১:৫৩ অপরাহ্ন

‘আজকের মতো অসহায় সকাল যেন আর ফিরে না আসে’

ক্রাইম ফোকাস ডেস্ক :
  • আপডেট সময় রবিবার, ৫ জুন, ২০২২
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে
বিনোদন ডেস্ক:চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ভয়াবহ এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে সারা দেশে। বাদ নেই বিনোদনজগতের তারকারাও। শনিবার রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চট্টগ্রামের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন তারা।

শাকিব খান, চিত্রনায়ক

চট্টগ্রামের জন্য প্রার্থনা।

কুমার বিশ্বজিৎ, সংগীতশিল্পী

সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে এত প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির জন্য গভীরভাবে শোকাহত।

অপি করিম, অভিনেত্রী

আজকের মতো অসহায় সকাল যেন আর ফিরে না আসে!

জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, অভিনেতা

চট্রগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি কনটেইনার ডিপোতে রাত ১১টায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছে৷ কিছু হতাহতের খবর শোনা যাচ্ছে, আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক মানুষ। ঘটনার পরপরই আহত ব্যক্তিদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়েছে। আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণের বাইরে। অসংখ্য অ্যাম্বুলেন্স প্রয়োজন। চট্টগ্রামের সব কটি সরকারি/বেসরকারি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে অতি দ্রুত সীতাকুণ্ডে যেতে বলা হচ্ছে। চট্টগ্রাম হাসপাতালে আহত ব্যক্তিদের রক্তের প্রয়োজন হতে পারে। আশপাশের সবাই রক্ত দিতে প্রস্তুত থাকুন। আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন।

মেহজাবীন চৌধুরী, অভিনেত্রী

অসংখ্য অ্যাম্বুলেন্স জরুরি প্রয়োজন। চট্টগ্রামের সব কটি সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে অতি দ্রুত সীতাকুণ্ডে যেতে বলা হচ্ছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ব্যাপক রক্তের প্রয়োজনও হতে পারে। স্থানীয় লোকজন প্লিজ রক্তদানে চমেকে আসুন।

তাসনিয়া ফারিণ, অভিনেত্রী

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও পরবর্তী বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে এবং এ ঘটনায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীসহ শতাধিক মানুষ দগ্ধ হয়েছেন। আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। প্রার্থনা, আসুন একসঙ্গে জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসি।

মীর সাব্বির, অভিনেতা

এখন চট্টগ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য আমাদের প্রার্থনা করা ছাড়া কিছুই করার নেই। ঘটনা শুনেই খারাপ লাগছে।

মাসুদ হাসান উজ্জ্বল, নির্মাতা

আমরা কেবল প্রার্থনা করতে পারি মুষলধারে বৃষ্টির। এখনো দাউ দাউ আগুন জ্বলছে সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে। এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৩১। অন্যান্য নিহত ব্যক্তির মধ্যে ফায়ারফাইটার রয়েছেন সাতজন, দুজন এখনো নিখোঁজ। তাঁদের মধ্যেই ১৫ জন এখন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে। হাইড্রোজেন পারক্সাইডের বিস্ফোরণ হয়েছে বলেই আগুন ছড়িয়েছে বেশি। এখনো মুহূর্তে মুহূর্তে বিস্ফোরণ হচ্ছে! এমন অসহায় মৃত্যু কোনোমতেই মেনে নেওয়া যায় না! ফায়ারফাইটারদের এমন মৃত্যু আরও বেশি অগ্রহণযোগ্য। সব সময় বড় কোনো অগ্নিকাণ্ড হলে এই বিষয়টাই সামনে এগিয়ে আসে যে আমাদের যথেষ্ট পরিমাণ আধুনিক এবং উন্নত ফায়ারফাইটিং উপাদান নেই, নেই আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ। যাঁরা নিজের কর্মের প্রতি দায়বদ্ধতার কারণে জীবন উৎসর্গ করতে পারেন, তাঁদের সততা ও আন্তরিকতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠতে পারে না। এই অসীম সাহসী এবং আত্মত্যাগী মানুষগুলোর কেবল কিছু উন্নত এবং পর্যাপ্ত সরঞ্জাম আর প্রশিক্ষণ দরকার। জানি, হাইড্রোজেন পারক্সাইডের এই বিস্ফোরণ এতটাই আকস্মিক যে শত প্রশিক্ষণেও হয়তো কিছু করার ছিল না! কিন্তু কেবল নিজের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এতগুলো তাজা প্রাণ জ্বলন্ত পুড়ে মরে গেল, এটা মেনে নিতে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে।

সাগর জাহান, নাট্য নির্মাতা

দায়িত্ব পালনে জীবন দিলেন সাতজন। আমাদের রিয়েল হিরো… আমাদের ফায়ার ফাইটার্স… গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর