জামালপুর প্রতিনিধি:জামালপুরের মাদারগঞ্জের তেঘরিয়া বাজারের ফামেসি দোকান থেকে বোরাক্স জাতীয় মাদক দ্রব্য খেয়ে দুজনের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অপর দুজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুবুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে মাদারগঞ্জ উপজেলায় তেঘোরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে ‘বোরাক্স কিউ’ নামে একটি হোমিওপ্যাথিক খালি বোতল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহতদের মধ্যে মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ ইউপির তেঘরিয়া ঠনঠনিয়া পাড়ার মৃত আমিনুরের ছেলে ইমরান হোসেন ওরফে এসআর ও তেঘরিয়া এলাকার মৃত আয়েন সোনারোর ছেলে হাফিজুর রহমান ওরফে হাফিজুর কসাই। এছাড়া গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উবায়দুর ও রবিদাস নামে দুইজনকে মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উন্নত চিকিসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে মাদারগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইলিশায় রিছিল, মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ মাহবুবুল হক, ওসি তদন্ত আরশেদ আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনার পর থেকে নেশা জাতীয় ওষুধ বিক্রেতা ফার্মেসিগুলো বন্ধ রয়েছে।
চরপাকেরদহ ইউপি চেয়ারম্যান বদরুল আলম সর্দার জানান, ঘটনার রাতে চারজন এক সঙ্গে তেঘরিয়া বাজারের ফামেসি দোকান থেকে এলকোহল জাতীয় মিশ্রিত ওষুধ পান করার পর যে যার বাড়িতে চলে যায়। পরে রাত ২টার দিকে তারা সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় তাদের মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুইজনের মৃত্যু নিশ্চিত করে। বাকি দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জোনারেল হাসপাতাল প্রেরণ করেন। তারা দুইজনই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
তিনি আরো জানান, মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারীদের ডেকে তাদের এ পেশা ছেড়ে দেয়ার জন্য তাদের উৎসাহিত করা হয়। এরইমধ্যে মাদক বিক্রেতা কৃষ্ণ রবিদাসকে মাদক বিক্রি ছেড়ে দিতে ২ লাখ টাকা দিয়ে সহযোগিতাও করা হয়।
মাদারগঞ্জ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ মাহবুবুল হক জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি স্বজনরা গোপনে লাশ দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। পরে লাশ উদ্ধার করে দুপুরে জামালপুর মর্গে পাঠানো হয়। এছাড়া যে ফার্মেসিগুলো থেকে তারা ওষুধ ক্রয় করে সেবন করেছিল সে দোকানগুলো বন্ধ রয়েছে।