রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০২৩, ০৩:৩৫ অপরাহ্ন

শিক্ষকের হাত বিচ্ছিন্ন করেও হয়নি ক্ষান্ত, কোপাতে থাকে পিঠেও

ক্রাইম ফোকাস ডেস্ক :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৩১ মে, ২০২২
  • ১১০ বার পড়া হয়েছে

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:কলেজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন ৫২ বছর বয়সী শিক্ষক তোফাজ্জেল বিশ্বাস। পথেই তাকে ঘিরে ধরে কয়েকজন অচেনা লোক। হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালাতেই বাঁচার জন্য দৌড়ে একটি সেতুর ওপর চলে যান তিনি। কিন্তু সেখানেও ছিল সন্ত্রাসীদের আরেকটি দল। এরপর কুপিয়ে তোফাজ্জেলের ডান হাতের কবজি কেটে ফেলা হয়। তবু ক্ষান্ত হয়নি তারা, কোপাতে থাকে পিঠেও।

ঘটনাটি কুষ্টিয়ার। মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার বংশীতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তোফাজ্জেল জেলার কুমারখালী উপজেলার বাঁশগ্রাম আলাউদ্দিন আহম্মেদ কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। তিনি একই উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের শালঘর মধুয়া এলাকার জালাল উদ্দীনের ছেলে।

তোফাজ্জেলের ছোট ভাই মনিরুল ইসলাম বলেন, কেন বা কী কারণে আমার ভাইকে এভাবে কোপানো হয়েছে তা বলতে পারছি না। তবে এর পেছনে বড় কোনো পক্ষের হাত থাকতে পারে।

স্থানীয়রা জানায়, দুপুরে কলেজ থেকে বের হয়ে বংশীতলা এলাকা দিয়ে শহরে ফিরছিলেন তোফাজ্জেল। এ সময় তাকে কয়েকজন সন্ত্রাসী ঘিরে ধরে পেটাতে থাকেন। তিনি সেখান থেকে দৌড়ে কয়েকশ গজ দূরে নির্মাণাধীন একটি সেতুর ওপর যান। সেখানে অবস্থান নেয়া আরো ১০-১২ জন সন্ত্রাসী রামদা দিয়ে তাকে কোপাতে থাকে। এ সময় তার ডান হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তিনি পড়ে গেলে তার পিঠেও এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে তারা। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা চলে গেলে তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় লোকজন।

বাঁশগ্রাম আলাউদ্দিন আহম্মেদ কলেজের অধ্যক্ষ হামিদুল ইসলাম বলেন, কী কারণে এবং কে বা কারা তোফাজ্জেল হোসেনের ওপরে হামলা করেছেন তা এখন পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি।

কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আশরাফুল আলম বলেন, হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা তাকে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বিরুল আলম বলেন, শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় কলেজ শিক্ষকের ডান হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে অভিযানে মাঠে নেমেছে পুলিশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর