ফেনী প্রতিনিধি:ফেনীর সোনাগাজীতে মারামারির ঘটনায় করা মামলায় দুই বছরের সাজা হয়েছিল সুজল হকের। সেই সাজা থেকে বাঁচতে ১১ বছর পালিয়ে সৌদি আরবে ছিলেন তিনি। তবু তার শেষ রক্ষা হয়নি, শেষ পর্যন্ত ধরা পড়েছেন পুলিশের কাছে।
সোমবার ঐ উপজেলার সুজাপুর থেকে সুজল হককে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ২০১০ সালে মারামারির অভিযোগে সুজল হকসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে সোনাগাজী থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। পরে জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যান তিনি। আদালতে হাজির না হয়ে গোপনে চলে যান সৌদি আরবে। ২০১১ সালে আদালত তাকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়। বাকি আসামিরা গ্রেফতার হয়ে সাজাভোগ করে কারাগার থেকে বের হলেও সুজল হক পলাতক ছিলেন।
সোনাগাজী থানার এসআই মো. মাহবুব আমল সরকার বলেন, আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা পাওয়ার পর সুজল হকের খোঁজে মাঠে নামে পুলিশ। কিন্তু তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। দুই মাস আগে তিনি সৌদি আরব থেকে দেশে আসেন। এরপর গ্রেফতার এড়াতে প্রায়ই স্থান পরিবর্তন করতেন। দুই সপ্তাহ আগে তাকে ধরতে ছদ্মবেশে খোঁজখবর নেয় পুলিশ। পরে সুজল হকের নতুন বাড়ির ঠিকানা, মোবাইল নম্বর ও ছবি পাওয়া যায়। সেই সূত্র ধরে সুজাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।