সায়মা শাহনাজ পিংকি:
একটা মানুষ ক্রমাগতভাবে আপনজনদের কাছে ঠকতে ঠকতে একসময়ে এসে বুঝতে শিখে যায়, সবাই আপন আপন করলেও সবাই আসলে আপন নয়।
সে জানতে শেখে-
সবাই উপরে উপরে সফলতার জন্য কামনা করলেও, ভেতরে ভেতরে ব্যর্থতাটাই দেখার অপেক্ষা করে থাকে।
সে বুঝতে শিখে যায়, প্রয়োজন ছাড়া কেউ কারোর প্রিয়জন হতে আসে না।যারা আসে নিজের স্বার্থ রক্ষার জন্যই আপন হতে আসে। আর তাই তারা অসময়ে এসে মৌমাছির মত ভীড় জমায় কিন্তু তাদেরকে বিপদের সময় পাশে পাওয়া যায় না।
আপন আপন করে সবাই
আপন কেহ নয়,
নিজ স্বার্থ রক্ষার তরে
করে অভিনয়।”_
নিজের স্বার্থ রক্ষার জন্যই তারা শত উপায়ে,শত অভিনয়ের মাধ্যমে আপন আপন ভাব জমাতে শুরু করে। অনর্গল আনাচে কানাচে নাছোড়বান্দা হয়ে পড়ে থাকে। কিন্তু স্বার্থ হাসিলের কাজটা শেষ হয়ে গেলে তাদের পালকের ছায়াটা পর্যন্ত আর দেখতে পাওয়া যায় না।
এসব বিষয়ে অবগত হওয়ার পর, সেই ঠকে যাওয়া মানুষটা আগের মতো আর কারোর উপর ভরসা করতে পারে না। কাউকে আপন ভাবতে পারে না।তখন মানুষের সাথে মিশতেও ভয় পায়,যদি আপন সেজে কাছে আসা মানুষগুলো নতুন করে কোনো ক্ষতি করে বসে!নতুন করে যদি বিশ্বাস নিয়ে খেলতে শুরু করে! নতুন করে বুকের উপর ছুরি ধরে বসে!
অতঃপর কারোর উপর সেরকম ভরসা না পাওয়ায় শেষমেশ মানুষটা একাকিত্বকে বরণ করে নেয়। কারন তখন তার কাছে একাকিত্বকেই সবথেকে বেটার অফশন বলে মনে হয়।
প্রেসিডেন্ট, জাতীয় মহিলাপার্টি, পঞ্চগড়।
প্রেসিডেন্ট, মার্সেল শোরুম এক্সক্লুসিভ, চরফ্যাশন, ভোলা।