এডভোকেট মো: হাবিবুল হক: ধরুন আপনার বাবা কিছুদিন আগে মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি ব্যাংকে কিছু টাকা জমিয়েছিলেন। তবে কাউকে নমিনি করে যাননি। সেই টাকা উত্তোলন করার জন্য ব্যাংকে যোগাযোগ করা হলে, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায় যে আপনাকে/ আপনাদেরকে ওয়ারিশিয়ান সার্টিফিকেট নিয়ে আসতে হবে।
ওয়ারিশান (উত্তরাধিকার) সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য জেলা জজ আদালতে আবেদন করতে হয়। যেমন ঢাকার ক্ষেত্রে তৃতীয় যুগ্ম জেলা জজ আদালতকে এ সনদ-সংক্রান্ত বিষয় নিষ্পত্তির এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে।
আদালতে দরখাস্ত দায়েরের সাথে সংযুক্তি :-
১। আপনাকে তাদের প্যাডে চেয়ারম্যান বা কমিশনার কর্তৃক ওয়ারিশিয়ান সার্টিফিকেট এবং আপনার বাবার মৃত্যুর প্রত্যয়নপত্র নিতে হবে । ওয়ারিশান সনদপত্রটি আবেদনের সাথে আদালতে দাখিল করতে হবে। উক্ত সনদের ফরমেট সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান বা কমিশনার কার্যালয়ে রয়েছে।
২। যে ব্যাংকে টাকা রাখা ছিল সে ব্যাংক থেকে একটি সনদ (ব্যালান্স কনফারমেশন লেটার) নিতে হবে এবং আদালতে জমা দিতে হবে। বা কোন ঋণপত্র থাকলে (তিনি ঋণ দিয়েছেন/বা কারো কাছ থেকে টাকা পাওয়ার ডকুমেন্ট যা দেনাদার স্বীকার করে) তা জমা দিলেও হবে।
এ আবেদন করার পর আদালত থেকে উত্তরাধিকার সনদের আবেদন মঞ্জুর করলে কোর্ট ফি দাখিল করতে হবে।নিয়ম অনুযায়ী দাবিকৃত অর্থের পরিমাণ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হলে কোনো কোর্ট ফি দিতে হয় না।কিন্তু ২০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত এক শতাংশ কোর্ট ফি দিতে হয়।
আবার এক লাখ এক টাকা থেকে যেকোনো পরিমাণ অর্থের ওপর দুই শতাংশ কোর্ট ফি জমা দিতে হয়। এভাবে আইনি প্রক্রিয়ায় এগোলে উত্তরাধিকার সনদ পাওয়ার মাধ্যমে ব্যাংকে রক্ষিত টাকা সহজেই তোলা যাবে।
মো: হাবিবুল হক
এডভোকেট
জজ কোর্ট, ঢাকা