নিজস্ব প্রতিনিধিঃগত ২২ শে মার্চ বরিশাল পরের সাগরের মাঠে জমকালো আয়োজনে বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন হায়দার ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (বিএমপি) প্রলয় চিসিম। মেলা উদ্বোধনের সাথে সাথে করোণা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ২৬ মার্চ সাময়িকভাবে মেলা বন্ধ করে দেয়া হয়।
বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় এবং বাংলাদেশের সমস্ত পর্যটন স্পট, বিনোদন কেন্দ্র, সিনেমাহল, থিয়েটার মেলা খুলে দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে। তাই দীর্ঘ ছয় মাস বন্ধ থাকার পরে বরিশালেও বিসিক উদ্যোক্তা মেলা যাতে পুনরায় চালু হয় সেই দাবি জানিয়েছে বিসিক উদ্যোক্তা ও সংশ্লিষ্ট ক্ষতিগ্রস্তরা। মেলার সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকা মোঃ মনির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ৬ মাস যাবদ মেলা বন্ধ থাকার কারনে যারা মেলায় ব্যবসা করতে এসেছেন তারা আজ পথে বসার অতিক্রম।লক্ষ লক্ষ টাকা লোকসান হয়েছে। পুনরায় চালু হবে এই আশায় আমি এবং মেলায় আগত বিভিন্ন উদ্যোক্তারা যারা দোকান নিয়েছিল। তারা এ যাবদ দোকানের মালামাল গুলো আশেপাশের বিভিন্ন বাসা এবং গোডাউনে দীর্ঘ ছয় মাস ভাড়া দিয়ে আসছেন। এমন কি মেলা আবার চালু হবে, এমন কতৃপক্ষের আশ্বাসে আমরা পরেশ সাগর মাঠে থাকা ব্যবস্হপনা গুলি সরিয়ে নেইনি। এখন যদি মেলা একে বারে বন্ধ হয়ে যায় তা হলে আমরা পথে বসে যাবো।পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে লাগবে।খোজ নিয়ে জানা যায়, ইতিমধ্যে আমরা দেখেছি করণা সংক্রমণ কমে যাওয়ায় দেশের সকল পর্যটন স্পট, বিনোদন কেন্দ্র, ঢাকায় বাণিজ্য মেলার অনুমতি দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, আমাদের লাখ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে আমরা যাহাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুনরায় উদ্যোক্তা মেলাটি শুরু করতে পারি সে জন্য যথাযথ বরিশাল জেলা প্রশাসন কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। উল্লেখ্য যে, বিসিক উদ্যোক্তা মেলায় বিভিন্ন জেলা থেকে আগত বিভিন্ন ধরনের প্রায় ৬০ টি দোকান ছিল এবং শিশুদের জন্য বিনোদনের ব্যবস্থা ছিল যা মেলার মূল আকর্ষণ ছিল।