নিজস্ব প্রতিনিধিঃনাটকীয় পরিবর্তন এনে কৌশলগতভাবে দল পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। বিগত দুই বছর দলীয় নেতাকর্মীরা ঘুমিয়ে পার করায় আস্থা সংকটের প্রেক্ষাপটে দল পরিচালনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নতুন সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।
বিশ্বস্ত সূত্রে আরো জানা গেছে, এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে নতুন পদ্ধতিতে সক্রিয় করা হয়েছে জাতীয় স্থায়ী কমিটিকে। বদলে দেওয়া হয়েছে দলের সর্বোচ্চ এ কর্তৃপক্ষের বৈঠকের কৌশলও।
বৈঠকের আগে-পরে এজেন্ডা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে কমিটির প্রত্যেক সদস্যের কাছে। আর এ এজেন্ডা তৈরিতে দলের হাইকমান্ডের সরাসরি তত্ত্বাবধানে কাজ করছে দলীয় গবেষণা সেল বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ সেন্টার (বিএনআরসি)। বিস্তৃত করা হয়েছে এ গবেষণা সেলটির কার্যক্রমও।
যদিও এ গবেষণা সেল ও তারেক রহমানের উদ্যোগে দ্বিমত রয়েছে দলীয় শীর্ষ অনেক নেতাদের মধ্যেই। তারা বলছেন, দলীয় কৌশল পরিবর্তন করে তথ্য পাচার রোধ সম্ভব হবে না। বরং দরকার, তথ্য পাচারকারীদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া। গবেষণা সেল ও বৈঠকের আগে-পরে এজেন্ডা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা ভালো, তবে এটা বিশেষ ফলপ্রসূ হবে না।
জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, আপনি কতটুকু কাজ করলেন আর না করলেন, তার জন্য একটা হিসাব থাকা দরকার। একটা গবেষণা সেল থাকা দরকার। তবে এ দিয়ে বিশেষ কোনো লাভ হয় না। গবেষণা সেলের তথ্য যে বাইরে যাবে না, তার নিশ্চয়তা কী? ফলে দরকার কঠোর তদারকি। উপকারী এবং অপকারীর মধ্যে তফাৎ চিনে রাখার সময় এখনই।
দলীয় সিদ্ধান্তের পরিবর্তন বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন স্থায়ী কমিটির বৈঠকের আগে আলোচ্য বিষয়ের এজেন্ডা আগে থেকে লিখিত দেওয়া হয়, যা আগে দেওয়া হতো না। যেকোনো পরিবর্তনই সুফল বয়ে আনতে পারে, তবে তা যথার্থ হতে হয়। এখন বাকিটা নির্ভর করছে নতুন কৌশলের যথাযথ বাস্তবায়ন এবং বাস্তবায়নে বাধাগুলো শনাক্ত করে আরো কিছু পরিবর্তনের ভাবনা। নইলে কোনো কৌশলই কাজে আসবে না।